তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের আমলে এমন পাঁয়তারা করে ভোটকেন্দ্রে মানুষ নয়, কুকুর-বিড়াল দেখা গেছে। সেদিন শেষ হয়ে গেছে।’
অসংখ্য ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। সেই পতনের মধ্য দিয়ে যাতে গণতন্ত্রের পথ নির্বিঘ্ন হয় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত নির্বাচনের আয়োজনের দাবি জানান বিএনপি’র এই নেতা।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে জাতীয় নারী ফুটবলের দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তার গ্রামের বাড়ি রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার মগাছড়ি দুর্গম গ্রামে গিয়ে এসব কথা বলেন।
ঋতুপর্ণার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তিনি ঋতুর মা অসুস্থ ভুজোপতি চাকমার সঙ্গে কথা বলেন। এসময় তিনি তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। ঋতুপর্ণার ম্যাজিকে বাংলাদেশকে আনন্দের বিভিন্ন মুহূর্ত এনে দেয়ার জন্য ঋতুর মাকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তারেক জিয়ার শুভেচ্ছা বার্তা এবং তার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া খোঁজখবর রাখছেনও বলে ভুজোপতি চাকমাকে জানান।
আরও পড়ুন: ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের পাশে তারেক রহমান
এসময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা, জেলা বিএনপি থেকে এক লাখ সহযোগিতা প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রতি মাসে কেমোথেরাপি দেয়ার জন্য যে খরচ হবে তার জন্য মাসে ৩০ হাজার টাকা করে আমরা বিএনপি পরিবার থেকে প্রদান করার ঘোষণা দেয়া হয়।
রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমার মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক জিয়া দ্রুতই তার মায়ের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা পেয়ে আজ সকালে মগাছড়ি গ্রামে তাঁর বাড়িতে আসি। তারেক জিয়ার সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছি।’
কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে উন্নয়নের যে বুলি উড়ানো হয়েছে, তার প্রমাণ তো আজকে আমরা এখানে এসে দেখতে পেলাম। দুই একটা পদ্মাসেতু আর কিছু ফ্লাইওভার করাকে উন্নয়ন বলে না। কী উন্নয়ন হয়েছে তার প্রমাণ তো নিজেই দেখে গেলাম।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
প্রসঙ্গত, ঋতুপর্ণা চাকমা মা ভুজোপতি চাকমা স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। প্রতি ২১ দিন অন্তর অন্তর তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে কেমোথেরাপি দিতে হচ্ছে।