সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে হাসপাতালের ৯ম তলায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার উদ্যেশ্যে এদিন সকালে হাসপাতালে আসেন আসমা নামে এক নারী। সঙ্গে ছিল তার ৩ বছর বয়সি ছেলে আবিত।
আসমা চিকিৎসার কাজে কিছুক্ষণ ব্যাস্ত ছিলেন। খালা ও নানির কাছে ছিলেন আবিত। কিন্তু হঠাৎ তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় বিষয়টি আনসার সদস্যদের জানান তিনি।
খবর পেয়ে পুরো হাসপাতালে নজরদারি বাড়ায় আনসার সদস্যরা। প্রায় ৬ ঘন্টা খোজাখুজির পর বিকেলে হাসপাতালের সামনে একটি রিক্সা থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চুরির অপবাদে গার্মেন্টস শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা
এ সময় শিশুটির সাথে এক অপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। আনসার সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। সেখান থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আনসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা সময় সংবাদকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ডিউটিরত অবস্থায় আসমা নামে একজন নারী অভিযোগ করেন যে, ৯ম তলা থেকে তাদের একটি ছেলে হারিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, তখনই পুরো হাসপাতালে আনসার সদস্যদের নিয়ে অভিযান শুরু করি। অভিযানের এক পর্যায়ে দুপুর ৩টার দিকে হাসপাতালের সামনে একটি রিক্সা থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করি। সাথে থাকা লোকটিকে ধরতে গেলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি হাসপাতাল কতৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব, ৮ কারখানা বন্ধ
প্রাথমিকভাবে পালিয়ে যাওয়া লোকটিকে অপহরণকারী দলের সদস্য বলে ধারণা করছে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসপাতালটিতে আরও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে সেবা নিতে আসা মানুষ।
]]>