দেড় যুগেও আলোর মুখ দেখেনি কৃষকের বাজার, ভাঙাচোরা ভবনে কসাইখানা-ব্যায়ামাগার

৬ ঘন্টা আগে
নির্মাণের ১৮ বছরেও রংপুর বিভাগে চালু হয়নি কৃষকের বাজার। এসব বাজারে চলছে কমিউনিটি সেন্টার, ব্যায়ামাগার, কসাইখানাসহ নানা কার্যক্রম। মধ্যস্বত্বভোগীদের এড়িয়ে কৃষকদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তায় পরিণত করতে কয়েক কোটি টাকা খরচ করা হলেও তা কৃষকের কোনো কাজে আসছে না।

এখনও দেশের অর্থনীতির বড় চালিকা শক্তি কৃষি, আর এর চালক কৃষক। তবে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে বেশিরভাগ সময় উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন তারা। এমন বাস্তবতায় মধ্যস্বত্বভোগীদের এড়িয়ে কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে রংপুর বিভাগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কৃষকের বাজার নির্মাণ করে সরকার।

 

তবে দীর্ঘ সময়েও এসব বাজারে কৃষকের জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি কৃষি বিভাগ। এসব ভবনে গড়ে উঠেছে কসাইখানা, ব্যায়ামাগার, ভাঙারির দোকানসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এমনকি অনেকগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের পথে।

 

আরও পড়ুন: দিনাজপুরে গ্যাপ পদ্ধতিতে চিচিঙ্গা চাষে সাফল্য, বাড়াচ্ছে রফতানির সম্ভাবনা

 

এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটটি সংস্কার করে পুনরায় চালু করলে এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এটি দ্রুত চালু করা দরকার।

 

নীতিমালা জটিলতা ও সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করে দায় সেরেছে কৃষি বিভাগ। রংপুর সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহীন আলম বলেন, মার্কেটগুলো পরিচালনায় যে কমিটি, সেখানে সভাপতি পদে পদাধিকারবলে সেই এলাকার পৌর মেয়র থাকতেন। নীতিমালা জটিলতা ও কিছু সমস্যা রয়েছে।

 

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই এ বাজার যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল সেটি সফল হবে।

 

উল্লেখ্য, রংপুর বিভাগে মোট ৩২টি কৃষকের বাজার নির্মাণ করা হয়। প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় ছিল প্রায় ২ কোটি টাকা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন