২০২০ সালে অভিষেকের পর ফর্মহীনতার কারণে এখন জাতীয় দলের আশপাশে নেই পৃথ্বী। ৫টি টেস্ট, ৬টি ওয়ানডে ও একটি টি-২০ খেলেছেন তিনি। তার সতীর্থ, এমনকি অনেক জুনিয়রও জাতীয় দলে এখন স্থান পাকা করে নিয়েছেন। শুধু জাতীয় দল কেন, ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলোতেও অনিয়মিত হয়ে পড়ছেন শ। গত আইপিএলের মেগা নিলামে তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল। বাদ পড়েছিলেন বিজয় হাজারে ট্রফির মুম্বাই দল থেকে।
বলা যায় শ ক্রিকেট থেকেই দূরে সরে গেছেন। তিনি সবশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটি খেলেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে। দারুণ সম্ভাবনাময় থেকে এখন ক্রিকেট থেকেই হারিয়ে যেতে বসেছেন—পৃথ্বী শয়ের এমন পরিণতি কেন? বিষয়টি নিয়ে শ নিজেই মুখ খুলেছেন।
আরও পড়ুন: ৪ বছর পর ইংল্যান্ডের টেস্ট দলে আর্চার
নিউজ২৪’কে শ বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্রিকেটকে কম সময় দিতে শুরু করেছিলাম। আগে অনেক অনুশীলন করতাম। নেটে ৩–৪ ঘন্টা ব্যাটিং করতাম। কখনও ব্যাটিং করতে ক্লান্ত হতাম না। অর্ধেক দিন মাঠে থাকতাম। আমি মনে করি আমার মনোযোগ সরে গিয়েছিল। তারপর আমি যা প্রয়োজন ছিল না তাকে প্রয়োজনীয় মনে করতে শুরু করেছিলাম। কিছু ভুল বন্ধু বানিয়েছিলাম।’
পৃথ্বী শকে যার সঙ্গে তুলনা করেছিল আইসিসি, এমনকি পুরো ক্রিকেট বিশ্ব, সেই শচীন টেন্ডুলকার এখনও শয়ের ওপর ভরসা রাখেন। কিছুদিন আগেই নাকি তাকে উৎসাহ দিয়েছেন লিটন মাস্টার। শচীনের কথা উল্লেখ করে পৃথ্বী বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন এখনও আমার ওপর ভরসা রাখেন। সঠিক পথে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’