জ্যামাইকায় মেলিসার আঘাতের পর এখনও সচল হয়নি বেশিরভাগ জায়গার বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ। তিন দেশে তাণ্ডবের পর হারিকেনটি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার আঘাতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুজনে।
কিউবা উপকূলে শক্তিশালী হারিকেন মেলিসার আঘাতের পর উঠে আসছে এর ভয়াবহ তাণ্ডবের চিহ্ন। ঘণ্টায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার গতির ঝড়ে বিপর্যস্ত জনপদ। সাগর কিছুটা শান্ত আর বাতাস কমে যাওয়ায় বাসিন্দারা ফিরছেন নিজ নিজ এলাকায়। গ্রানমা, সান্তিয়াগো দে কিউবা, গুয়ান্তানামো, হোলগুইন ও লাস তুনাস প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক এলাকা এখনও তলিয়ে আছে পানিতে।
মেলিসার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হাইতির দক্ষিণ উপকূলে। নদীর পানি উপচে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। স্থানীয় মেয়র জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেকে আটকে আছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মেলিসার তাণ্ডবে তছনছ জ্যামাইকা
আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টারের তথ্য মতে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দক্ষিণ-পশ্চিম জ্যামাইকায় নিউ হোপের কাছে ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মেলিসা। এরপর কয়েক ঘণ্টা ধরে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়।
দেশটিতে এখনও দেশটির বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। দক্ষিণ উপকূলের অ্যালিগেটর পন্ড এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সাগর তীরের ঘরবাড়ি ও মাছ ধরার নৌকা উড়ে গেছে ঝড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত একর কৃষি জমি।
অন্যদিকে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় মোন্থা দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ক্ষয়ক্ষতি চিত্র উঠে আসছে। বেড়েছে মৃতের সংখ্যা। অন্তত দেড় লাখ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুনরায় সচল করা হয়েছে।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·