সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাগটি মালিকের হাতে তুলে দেন রনি। ব্যাগের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ শহরের শম্ভূগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও ‘শাপলা হ্যাচারি’র স্বত্বাধিকারী। তিনি ৫ বছর আমেরিকার প্রবাসী ছিলেন।
শিক্ষার্থী রনি ছিলেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি।
রনি জানান, শনিবার (২৩ আগস্ট) তিনি বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে ঝিনাইদহ থেকে ময়মনসিংহ আসছিলেন। ময়মনসিংহ পৌঁছে নামার সময় পাশের সিটের নিচে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ তার নজরে আসে। ভুলবশত কোনো যাত্রী ফেলে গেছেন ভেবে তিনি ব্যাগটি নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: বাকৃবির ৫৯ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
ব্যাগ খুলে দেখতে পান একটি আইফোন, কিছু স্বর্ণালঙ্কার, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ওষুধ। আইফোনটি চার্জ না থাকায় বন্ধ হয়ে ছিল। ব্যাগে থাকা চার্জার দিয়ে চার্জ করে সচল করার একদিনেরও বেশি সময় ওই ফোনে কোনো কল আসেনি।
এতে হতাশ হয়ে তিনি থানায় জানানোর কথা ভাবছিলেন। অবশেষে সোমবার সকালে ফোনে একটি ম্যাসেজ ও একই নম্বর থেকে কল এলে প্রকৃত মালিককে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে স্পিচ থেরাপিতে ফিরলো নারীর বাকশক্তি
ব্যাগ ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন প্রবাসী আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি পর্তুগালের ভিসার আবেদন করেছিলাম। ভারতে অবস্থিত পর্তুগালের দূতাবাসে সাক্ষাৎ শেষে বেনাপোল হয়ে ময়মনসিংহে ফিরছিলাম। আমার স্ত্রী অসাবধানতাবশত বাসে ব্যাগটি ফেলে যান। ব্যাগে আইফোনসহ ছিল জরুরি কাগজপত্র ও মূল্যবান জিনিস। ফোনে আমার ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টস ছিল। এগুলো হারালে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু একজন সৎ মানুষ আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এজন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
]]>