হামাসকে ‘শেষবারের মতো সতর্ক’ করলেন ট্রাম্প

৩ সপ্তাহ আগে
ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে নিয়েছে দাবি করে হামাসকে শেষবারের মতো সতর্কবার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইসরাইলিরা আমার শর্ত মেনে নিয়েছে, এখন হামাসেরও এটা মেনে নেয়া উচিত। এটিই হামাসের জন্য শেষ সতর্কবার্তা। শর্ত না মানলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।’

 

ট্রাম্পের এই সতর্কবার্তার পর এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে,গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু প্রস্তাব পেয়েছে।

 

গোষ্ঠীটি আরও জানিয়েছে, তারা প্রস্তাবটি নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আর বিস্তারতি কিছু জানায়নি।হামাস জানায়, যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের বিনিময়ে তারা যেকোনো উদ্যোগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।

 

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির আন্তর্জাতিক তৎপরতায় ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল

 

নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন,

আমার মনে হয় খুব শিগগিরই গাজার বিষয়ে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে।’ তবে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাননি। তিনি আরও বলেন, সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনা হবে, জীবিত বা মৃত। আমার বিশ্বাস আমরা সবাইকে পেতে যাচ্ছি।

 

এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। রোববার  উপাত্যকার আল-রুয়া টাওয়ারে ভয়াবহ বিমান হামলায় মুহূর্তেই ধসে পড়ে সাততলা ভবন। এ হামলায় হতাহত হন বেশ কয়েকজন।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইলের বিমানবন্দরে হুতি বিদ্রোহীদের হামলা, আকাশসীমা বন্ধ

 

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, বহুতল ভবনগুলো হামাস ব্যবহার করছিল সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডে। হামলার আগে সাধারণ মানুষকে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছে বলেও দাবি তাদের।

 

শুধু আল-রুয়া নয়, গাজার আল-জাজিরা ক্লাবেও একইদিনে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ভবনের ভেতরে ও পাশে তাঁবুতে থাকছিল শতাধিক বাস্তুচ্যুত মানুষ। মুহূর্তেই ধসে পড়ে আশ্রয়কেন্দ্র, আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধোঁয়া। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে কোথায় থাকবেন তা তারা জানেন না। সাইরাত শিবিরেও ইসরাইলি ড্রোন হামলায় হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

 

সূত্র: রয়টার্স

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন