এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও গাজার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাসেম নাঈম বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ক্ষুধার যুদ্ধ এবং গণহত্যার যুদ্ধ যতদিন চলবে, ততদিন নতুন কোনো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসার কোনো মানে নেই।’
নাঈম আরও বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে এই ‘ক্ষুধা, পিপাসা ও হত্যাযজ্ঞ’ বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী গাজায় অভিযান সম্প্রসারণের ঘোষণা দেয়ার পর হামাস কর্মকর্তা এই মন্তব্য করলেন।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে ইসরাইলের ব্যাপক বিমান হামলা
গত সোমবার (৫ মে) ইসরাইলি বাহিনী জানায়, নতুন অভিযানে গাজার ‘অধিকাংশ মানুষকে স্থানচ্যুত’ করা হবে। এদিন ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। এতে ‘গাজা উপত্যকা জয় ও অঞ্চলগুলোর দখল’র কথা বলা হয়েছে। ইসরাইলি হামলার শুরু থেকে গাজার প্রায় সমস্ত বাসিন্দাই একাধিকবার স্থানচ্যুত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইলে হামলার পর এই যুদ্ধ শুরু হয় এবং ২ মার্চ থেকে গাজা পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। ফলে সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত ১৮ মার্চে দুই মাসের যুদ্ধবিরতি শেষ করে ইসরাইল আবার হামলা শুরু করে। যা বিরামহীনভাবে চলছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই নতুন অভিযানের পরিকল্পনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন। গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ‘এই পরিকল্পনার ফলে বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষের মৃত্যু এবং গাজার আরও ধ্বংস অনিবার্যভাবে ঘটবে। গাজা অবশ্যই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে ইসরাইল
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল বারো বলেছেন, ‘ইসরাইলের এই পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য নয় এবং এটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’ এছাড়া ইসরাইলের প্রস্তাব অনুযায়ী সামরিক কেন্দ্র থেকে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণের বিষয়টি জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং এতে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে।
]]>