বাজেটে কমছে ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা!

৬ ঘন্টা আগে
আসছে বাজেটে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ছেঁটে কমানো হচ্ছে ঋণ নির্ভরতা। বাজেটের আকার কমছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা, যেখানে ব্যাংক ঋণ কমতে পারে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, বিনিয়োগ চাহিদা কম থাকায় বাজেট ঘাটতি পূরণে এবার ব্যাংকের ওপর চাপ পড়বে না। ঘাটতি মেটাতে রাজস্ব বাড়ানোর ওপর জোর তাদের।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার বৈদেশিক ও দেশীয় উৎসের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্যাংক ঋণের নির্ভরতা বেশি দেখা যায়। চলতি অর্থবছরে ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণের বিপরীতে ১২ মে পর্যন্ত নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা।

 

বিনিয়োগে ভাটায় বেসরকারিখাতে ঋণের চাহিদা কমায় বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা তেমন সংকট তৈরি করবে না বলে মত অর্থনীতিবিদের।

 

অর্থনীতিবিদ ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচন ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বেসরকারিখাতে ঋণের চাহিদা কমায় বাজেট ঘাটতি পূরণে সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা তেমন প্রভাব নাও ফেলতে পারে।

 

নতুন অর্থবছরের বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। সম্ভাব্য ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। আর ব্যাংক ঋণ ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা।

 

আরও পড়ুন: ব্যাংকের খেলাপি ১০ শতাংশ ছাড়ালেই লভ্যাংশ নয়, পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাবের শঙ্কা!

 

ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে ঋণ চাহিদা কম থাকলেও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসলে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে, সরকারকে এটা বিবেচনায় নিতে হবে। ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক মাইনুদ্দিন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙা ও বিনিয়োগ বাড়লে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাইবে। তখন একটা তার‌ল্য সংকট দেখা দিতে পারে। এটিকে মাথায় রেখেই আগাতে হবে।

 

যেহেতু আগের সরকারের নেয়া বড় প্রকল্পগুলো কাটছাঁট হচ্ছে, তাই এবারে উন্নয়ন বাজেটে ব্যয় কমছে। এতে ঋণের চাপও কমবে বলে মত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। বাংলাদেশ ব্যাংকের  মুখপাত্র  আরিফ হোসেন খান বলেন, সরকার প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রেও বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প মূল্যায়ন করবে। উন্নয়ন প্রকল্প করতে গিয়ে খুব বেশি ঋণ ব্যাংকিং খাত থেকে নেবে না।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৫৭ শতাংশ ও সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৬.৩২ শতাংশ।

 

ব্যাংক খাত থেকে সরকার বেশি পরিমাণে ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর এই ঋণের সুদ বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় সরকারকে। যা মূলত রাজস্ব সংগ্রহের অর্থ। তাই আসছে বাজেটে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ খাত সংশ্লিষ্টদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন