হামজা-সমিতদের জবাব দিতে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার দলে টানল ভারত

২ সপ্তাহ আগে
এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে গ্রুপ সি'র তিন ও চারে আছে বাংলাদেশ। দুই দলেরই পয়েন্ট সমান হলেও বেশি গোল করায় টেবিলে এগিয়ে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হওয়া এই দুই প্রতিবেশি দল এবার মুখোমুখি হচ্ছে মর্যাদার লড়াইয়ে। সিকিমে দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য সমতায়। এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশের লক্ষ্য ভারতকে মর্যাদার লড়াইয়ে হারানো।

আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এই ম্যাচে পূর্ণশক্তির দল নিয়েই ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচে হামজা চৌধুরী-সমিত সোমদের সঙ্গী হচ্ছে ইংলিশ ক্লাব সান্ডারল্যান্ডের যুবদলের সাবেক খেলোয়াড় কিউবা মিচেলও।


এর আগে সিকিমে প্রথম লেগের ম্যাচটি দিয়েই বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল হামজা চৌধুরীর। সে ম্যাচে ফিনিশিং ভালো হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো বাংলাদেশ। এক হামজাই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয়দের। সমিত সোম-কিউবা মিচেলরা যুক্ত হওয়ায় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের শক্তি বেড়েছে আরও। ফলে ভারতের জন্য নিশ্চিতভাবেই কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।


বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচের আগে শক্তি বাড়াতে ভারতও একই পথে হাঁটছে। দলে টেনেছে অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড রায়ান উলিয়ামসকে। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন ৩২ বছর বয়সী উইলিয়ামস। গত রোববার (৯ নভেম্বর) অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) জানায়, খালিদ জামিলের তত্ত্বাবধানে বেঙ্গালুরুতে চলমান জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে রয়েছেন ডিফেন্ডার জয় গুপ্তা।


আরও পড়ুন: সোমবার ঢাকায় আসছেন হামজা, শমিত আসছেন কবে?


অস্ট্রেলিয়ার পার্থে জন্ম নেওয়া ৩২ বছর বয়সী উইলিয়ামস এবার ভারতীয় দলে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুতে  এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের প্রস্তুতির জন্য।


গত সপ্তাহে এআইএফএফ এই সাহসী পদক্ষেপ নেয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত বা ভারতীয় নাগরিকত্ব নিতে ইচ্ছুক এমন বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য জাতীয় দলে সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে দেশটি। এর অংশ হিসেবেই তারা  দুজন প্রবাসী খেলোয়াড়ক—রায়ান উইলিয়ামস ও আভনীত ভাটিকে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডেকে পাঠায়।


উইলিয়ামসের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় বেঙ্গালুরু এফসির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। যেখানে কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী নিজ হাতে তাকে নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র হস্তান্তর করেন।


উইলিয়ামস পরে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, 'যা এতদিন হৃদয়ে অনুভব করছিলাম, আজ সেটাই আনুষ্ঠানিকভাবে সত্যি হলো। এই দেশের ভালোবাসা, সুযোগ আর আপনত্বের অনুভূতির জন্য আমি কৃতজ্ঞ। যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন, শেষ সাক্ষাৎকারটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন! ভারত, এখন আমি তোমাদেরই একজন।'


উইলিয়ামসের মায়ের জন্ম মুম্বাইয়ে, আর বাবার ইংল্যান্ডের কেন্টে। এটি ভারতের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা, যখন কোনো ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া (ওসিআই) খেলোয়াড় নাগরিকত্ব বদলে জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা পেলেন।


আরও পড়ুন: সুখী হতে প্রশংসার প্রয়োজন নেই, ফুটবলই আমার আনন্দ: আলভারেজ


উইলিয়ামস অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব–২০ ও অনূর্ধ্ব–২৩ দলের হয়ে খেলেছেন, এমনকি ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামেন।


ক্লাব ফুটবলে তিনি ইংল্যান্ডের ফুলহ্যাম ও পোর্টসমাউথের হয়ে খেলেছেন। ২০২৩ সালে তিনি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) দল বেঙ্গালুরু এফসিতে যোগ দেন।


উইলিয়ামসের আগে ২০১২ সালে জাপানে জন্ম নেওয়া ইজুমি আরাতা ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। তিনি ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্লু টাইগার্সের জার্সিতে ৯টি ম্যাচ খেলেছিলেন।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন