হামজা আবার প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠা এখন খুবই স্বাভাবিক। একটু বুঝিয়ে বলা যাক, হামজা চৌধুরী লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ড ইউনাইটেডে গেছেন ধারে, ৬ মাসের জন্য। তবে তিনি কি আবার লেস্টারে ফিরবেন, নাকি শেফিল্ড তাকে রেখে দিবে, এ কথার উত্তর এখনই দেয়া যাচ্ছে না।
ইংল্যান্ডের লিগ ফুটবলে চ্যাম্পিয়নশিপ দ্বিতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা। প্রতি মৌসুমে এই লিগ থেকে তিনটি দল ওঠে প্রিমিয়ার লিগে। আবার একইভাবে প্রিমিয়ার লিগ থেকে তিনটি দল নেমে যায় চ্যাম্পিয়নশিপে।
হামজা চৌধুরী এখনও লেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। সেই দলটাও এখন ভালো অবস্থানে নেই। এখন পর্যন্ত ৩৫ ম্যাচ খেলে ৫টি জয় ও ৬টি ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১৯তম স্থানে আছে লেস্টার। সামনের মৌসুমে তারা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারবে না, তাদের খেলতে হবে দ্বিতীয় স্তরের চ্যাম্পিয়নশিপে।
ধারের মেয়াদ শেষ হলে সামনের মৌসুমে লেস্টারে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে হামজার। তবে শেফিল্ড ইউনাইটেড চাইলে হামজার সঙ্গে চুক্তি করে তাকে ধরে রাখতে পারে। তবে শেফিল্ড হামজার সঙ্গে চুক্তি করবে কি না, সেটি নির্ভর করছে সামনের মৌসুমে শেফিল্ড কোথায় খেলবে তার ওপর।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে মেসির মতো একজন হয়ে উঠবেন ইয়ামাল: ডেভিড বেকহ্যাম
চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে যে তিনটি দল প্রিমিয়ার লিগে ওঠে, তার মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল সরাসরিই ওঠে। এবারের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে সর্বোচ্চ ১০০ পয়েন্ট করে নিয়ে প্রথম দুটি স্থান দখল করে নিয়েছে লিডস ইউনাইটেড ও বার্নলি। আগামী মৌসুমে এই দুই দল খেলবে প্রিমিয়ার লিগে। বাকি একটি দল চূড়ান্ত হবে প্লে-অফের মাধ্যমে।
চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ; এই চার দল নিয়ে হয় প্লে-অফ। প্রথমে হয় দুই লেগের সেমিফাইনাল। এরপর এক ম্যাচের ফাইনাল। হামজার দল শেফিল্ড ৯০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হওয়ায় প্লে-অফে খেলছে, প্রতিপক্ষ ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ হওয়া ব্রিস্টল সিটি।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিস্টলের মাঠে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে ৩-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেড। সোমবার (১২ মে) নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ২ গোল ব্যবধানে হারলেও প্লে-অফ ফাইনালে উঠে যাবে শেফিল্ড।
আরও পড়ুন: আগস্টেই রিয়ালের ডাগআউটে দেখা যাবে আলোনসোকে!
যদি কোনো কারণে শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে উঠতে না পারে, তাহলে হামজা চৌধুরীকে খেলতে চ্যাম্পিয়নশিপেই। তবে মূল দল লেস্টার ও শেফিল্ড দুটিই তখন চ্যাম্পিয়নশিপে থাকবে। আর শেফিল্ড যদি প্রিমিয়ার লিগে ওঠে, সে ক্ষেত্রে সমীকরণ হয়ে উঠবে ভিন্ন।
মৌসুমের শুরুতে লেস্টারে ম্যাচ টাইম না পাওয়া হামজা ধারে শেফিল্ডে যোগ দেন। তার অন্যতম কারণ অবশ্য দলটির কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার। ২০২২–২৩ মৌসুমে লেস্টার হামজাকে যখন ধারে ওয়াটফোর্ডে পাঠায়, তখন সেই দলটির কোচ ছিলেন ওয়াইল্ডার। একই কোচ সুযোগ পেয়ে এ বছর হামজাকে নিয়ে এসেছেন শেফিল্ডে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে শেফিল্ডে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাকে নিয়মিত খেলাচ্ছেনও ওয়াইল্ডার।
চ্যাম্পিয়নশিপে মৌসুমের শেষ ম্যাচ বাদে বাকি সব ম্যাচেই খেলেছেন হামজা। ব্রিস্টলের বিপক্ষে সেমিফাইনাল প্রথম লেগেও ছিলেন পুরো ৯০ মিনিট। হামজার ওপর শেফিল্ড ইউনাইটেড কোচের যে যথেষ্ট আস্থা আছে, তা স্পষ্ট। তবে এখন দেখার অপেক্ষা, শেষ পর্যন্ত কি হয়।
]]>