ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন নাহিদ, পরের ইনিংসে ১টি। সব মিলিয়ে ৬ টেস্টে তার উইকেট হলো ১৯টি। টেস্টে এ বছর গড়ে যারা সবচেয়ে বেশি গতিতে বল করেছেন, তাদের মধ্যে নাহিদ দ্বিতীয়। ৬ টেস্ট খেলে গড়ে ঘণ্টায় ১৪০.৯৩ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন। তার উপরে কেবল ইংল্যান্ডের মার্ক উড, ৬ টেস্টে উড গড়ে ঘণ্টায় ১৪৫.৩১ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন।
জ্যামাইকা টেস্টে ঘণ্টায় ১৫০.১ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন নাহিদ, পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১৫২ কিলোমিটার গতিতে। অথচ এক বছর আগে কেউ কল্পনা করেনি নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এমন পেসার পাবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ এর গতির ঝড়ে দ্বিতীয় নাহিদ রানা
নাহিদের মতো এমন এক্সপ্রেস গতির বোলার বাংলাদেশ কীভাবে পেল, সেই গল্প শুনিয়েছেন বিসিবি নির্বাচক হান্নান সরকার। ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার হান্নান নাহিদকে পাওয়ার গল্প শোনান।
হান্নান সরকার বলেন, আমরা সবাই নাহিদ রানাকে চিনি। তার শুরুটা হয়েছিল আমার বন্ধু আলমগীর কবিরের (সাবেক ক্রিকেটার, এখন কোচ) হাত ধরে। রাজশাহীদের একটা অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হলো (নাহিদ), বৃষ্টির মৌসুম। ক্রিকেট বলে খেলার খুব একটা সুযোগ হয় না। স্বাভাবিকভাবে টেপ টেনিসে প্রচুর ম্যাচ খেলা হয় তখন। এই বল দিয়ে কোচ ও প্লেয়ারদের মধ্যে একটা ম্যাচ হচ্ছিল। আলমগীর বল করে টায়ার্ড হয়ে যায়। এরপর পিচ্চি কাউকে ডাকা হয়। তখন ১৫-১৬ বছরের নাহিদ রানার হাতে বল তুলে দেয়া হয়। কিপার পরপর তিন বার নাহিদের বল ধরতে পারেনি, আলমগীর নিজেও পারেনি।
আরও পড়ুন: ৫ উইকেট পেয়েও র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি তাইজুল-নাহিদের, উন্নতি মুশফিক-
আলমগীর কবির এরপর নাহিদকে ক্রিকেট বল দিয়ে বোলিং করান। হান্নান বলেন, নাহিদের মধ্যে একটা এক্সাইটমেন্ট ছিল। সে তখন দুই হাতে ধরে বল করত, ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু গতি ঠিকই ছিল। আলমগীর নাহিদকে নিয়ে কাজ শুরু করে, রানারআপ নিয়ে, বল ধরা নিয়ে, গ্রিপিং নিয়ে। আজকে আমরা বর্তমান নাহিদকে দেখছি।
হান্নান বলেন, ‘বছরখানেক পরে নাহিদ রাজশাহীর অনূর্ধ্ব-১৮ টিমে সুযোগ পেল। প্রথম বার খেলে ওয়াইসিএল খেলার সুযোগ পায়নি। পরের বার পায়। আলমগীর এরপর অনেকের সঙ্গে কথা বলে রাজশাহীতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা করে দেয়। লাইন-লেন্থে সমস্যা হলে জোরে বলটা কাজে লেগেছিল। সেই জায়গা থেকে নাহিদ রানার যাত্রা শুরু। যে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করছে।