হাজিরা যেভাবে তালবিয়া পাঠ করেন

৩ সপ্তাহ আগে
হজ এই শব্দটির মাঝেই যেন লুকিয়ে আছে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি, এক হৃদয়বিধুর আহ্বান, এক আত্মার আর্তি। হজ মানে শুধু মক্কার পথে পদযাত্রা নয়, বরং এটি এক অন্তরযাত্রা প্রিয় প্রভুর দিকে, তার সান্নিধ্যের আশায়, ক্ষমা ও রহমতের সন্ধানে।

হজরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সা. বলেছেন, এক উমরা আরেক উমরার মধ্যবর্তী গুনাহের জন্য কাফফারা, আর হজে মাবরূরের প্রতিদান শুধুই জান্নাত। (বুখারি ১৭৭৩, মুসলিম ১৩৪৯)

 

হজে তালবিয়া পাঠ করতে হয়। উমরার ক্ষেত্রে তালবিয়ার শুরু এহরামের নিয়ত করার সময় থেকে এবং শেষ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শুরু করার সময়ে। আর হজের ক্ষেত্রে এহরামের নিয়ত করার সময় থেকে ১০ জিলহজ বড় জামরায় কঙ্কর নিক্ষেপের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।

 

لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ ، إِنَّ الْحَمْدَ والنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكُ ، لَا شَرِيكَ لَكَ উচ্চারণ: লাব্বায়িকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বায়িকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারীকালাক

 

অর্থ: উপস্থিত, হে আল্লাহ্! আমি উপস্থিত; আমি উপস্থিত, তোমার কোন শরিক নেই, আমি উপস্থিত; নিশ্চয় সব প্রশংসা এবং অশেষ অনুগ্রহের তুমিই মালিক এবং আধিপত্যেরও (মালিক) তোমার কোন অংশীদার নেই।

 

রসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত আরবি শব্দমালা ব্যবহার করে তালবিয়া পড়া সুন্নত। তবে যদি কেউ আল্লাহর আজমত ও বড়োত্ব প্রকাশক আরো কিছু শব্দ এর সাথে যুক্ত করতে চায় তাহলে তা জায়েজ হবে। যেমনটি করেছেন ওমর (রা.)। তিনি উল্লিখিত তালবিয়ার শব্দমালা পড়ার পর বলতেন।

 

لَبَّيْكَ اْللَّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ، وَالَخيْرَ فِيْ يَدَيْكَ، وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ‘আমি হাজির হে আল্লাহ আমি হাজির, আমি হাজির একমাত্র তোমারই সন্তুষ্টি কল্পে। কল্যাণ তোমার হাতে, আমল ও প্রেরণা তোমারই কাছে সমর্পিত।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন