শনিবার (১৫ জুন) রাত পৌনে ১১টার দিকে ঝাউচর আমলা টাওয়ার রোডের একটি বাড়ির নিচতলার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম রাহাবুল ইসলাম রাসেল (১৬)। সে একটি হোটেলে কাজ করত। তার বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায়।
জানা গেছে, তিন ভাইয়ের মধ্যে মেজ রাসেল। তার বড় ভাই পশু চিকিৎসক এবং ছোট ভাই মাদ্রাসাছাত্র। তারা দুজন গ্রামের বাড়িতে থাকেন। রাসেল আর তার বাবা জুয়েলের সঙ্গে ঝাউচরের ওই বাসার নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন। আর রাসেলের মা শাহনাজ জর্ডান প্রবাসী। হাজারীবাগ বাজারে একটি হোটেলের কারিগর ছিলেন রাসেল আর তার বাবা রায়েরবাজার এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করেন।
নিহত রাসেলের মামা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে জুয়েল রানা নিজে আমাদের ফোন দিয়ে জানায়, তিনি তার নিজের ছেলে রাসেলকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছেন। তার অবস্থা মুমূর্ষু, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরবর্তীতে স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেলকে দেখতে পেয়ে ওই বাসা থেকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত ২
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘সম্প্রতি রাসেলকেও দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তার মা। তবে ছেলের বদলে জুয়েল রানা নিজে প্রবাসে যেতে চাচ্ছিলেন। তাকে নেয়ার ব্যবস্থা না করলে তিনি পরিবারে অশান্তি করবেন এবং অন্য একটি বিয়ে করে চলে যাবেন বলে প্রায়ই হুমকি দিতেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এর জের ধরেই শনিবার রাতে জুয়েল তার ছেলেকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে। তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
]]>