হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাবার ও সেবায় অনিয়ম, তদন্তে দুদক

৩ সপ্তাহ আগে
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একাধিক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে দুদক চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রোগীদের জন্য সরকারি বরাদ্দে রুই মাছ বা মুরগি দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহ করা হচ্ছে অপেক্ষাকৃত সস্তা পাঙাস মাছ। পাশাপাশি নির্ধারিত ১৮৬ গ্রাম মাছের স্থলে দেওয়া হচ্ছিল মাত্র ৮৮ গ্রাম। এসব বিষয়ে সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাগজপত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।


অভিযানে দুইজন চিকিৎসককে কর্মস্থলে অনুপস্থিত পাওয়া যায়, যাদের কারও ছুটির বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এছাড়া একজন চিকিৎসককে টাকার বিনিময়ে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দুদক।


স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও নার্সদের দুর্ব্যবহার বিষয়েও অভিযানে প্রমাণ মেলে। এছাড়া হাসপাতালের বেশ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষার যন্ত্র অচল রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় টেকনিশিয়ান নেই বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।


হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিল দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রেখে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও দুদকের নজরে এসেছে। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানায় দুদক।


আরও পড়ুন: ভুয়া দুদক কর্মকর্তার খপ্পরে পড়া ভুক্তভোগীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে


দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন জানান, প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ প্রধান কার্যালয়ে জমা দিয়ে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রোগী হয়রানি ও স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ জানানো হবে।


হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কেএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দুদকের সঙ্গে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। তারা যেসব বিষয় তদন্ত করেছে, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তাদের সরবরাহ করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন