সোমবার (২১ জুলাই) তাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বজনদের আহাজারিতে জেলার মির্জাপুর ও সখিপুরের আকাশ ভারি হয়ে ওঠে। অনাকাঙ্ক্ষিত এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম তানভীর আহমেদ (১৪)। সে মির্জাপুর উপজেলার ওয়ার্শি ইউনিয়নের নগরভাত গ্রাম গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অপরজনের নাম মেহেনাজ আক্তার হুমাইরা (৮)। সে সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে। সে ওই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক।
নিহত তানভীরের চাচাতো ভাই সজিব বলেন, ‘চাচা-চাচি সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য মাইলস্টোন কলেজে ভর্তি করেছিলেন। তানভীরের ছোট ভাই তাসবির চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।’
আরও পড়ুন: মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: সব আদালতে এক মিনিট নীরবতা
সজিব বলেন, ‘তানভীরের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রচুর লেখাপড়া করতো। ছুটিতে যখন গ্রামে আসতো তখনও পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরলে গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্বজনদের কান্নায় চারপাশের বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) তানভীরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসার। সেখানে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
এদিকে, মেধাবী এ ছাত্রের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক এ বি এম আরিফুর ইসলাম প্রমুখ।
অপরদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে জেলার সখীপুর উপজেলার হতেয়া কেরানিপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেনাজ আক্তার হুমাইরা। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।