এর সঙ্গে পাঁচটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারও উন্মোচন করে আঙ্কারা। এর মধ্যদিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পর হাইপারসনিক প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করলো তুরস্ক।
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে চলছে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা মেলা আইডিইএফ ২০২৫। সেখানে চলতি সপ্তাহে নিজেদের প্রথম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তায়ফুন ব্লক-৪ উন্মোচন করে আঙ্কারা।
তুরস্কের গণমাধ্যম জানায়, হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোকেতসানের তৈরি। এর দৈর্ঘ্য ২১ ফিট, ওজন ২ দশমিক ৫ টন।
আরও পড়ুন: পুতিন-জেলেনস্কিকে এক টেবিলে বসানোর উদ্যোগ নেবেন এরদোয়ান
ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। যুদ্ধবিমান বা ড্রোন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য এই অস্ত্র বর্তমানে যেকোনো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারদর্শী।
মেলায় তায়ফুন ছাড়াও প্রদর্শিত হয়েছে আরও পাঁচটি মারণাস্ত্র। ‘গোকবোরা’ নামের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, এআই-চালিত অস্ত্র ‘এরেন’, দীর্ঘ উচ্চতায় আক্রমণের জন্য ‘আইএইচএ-৩০০’, সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ মিসাইল ‘আকাতা’, এবং কক্ষপথে উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম মহাকাশযান ‘শিমশেক-২’।
এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার পর হাইপারসনিক প্রযুক্তি উন্নয়ন প্রতিযেগিতায় প্রবেশ করলো তুরস্ক। মেলায় ইউরোফাইটার টাইফুন জেট কিনতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করেছে তুরস্ক। যা আঙ্কারা-লন্ডনের কৌশলগত ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর ইঙ্গিত বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ভয়াবহ দাবানল, আগুন নেভাতে গিয়ে মৃত ১০
এছাড়া সিরিয়া, বেলজিয়াম ও লিবিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে তুরস্ক। এই প্রতিরক্ষা মেলায় অংশ নিয়েছে ৪৪ দেশের ১৩০০ কোম্পানি। পশ্চিমা চাপ উপেক্ষা করে তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাতের এমন অগ্রগতি আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।