স্থানীয়রা জানান, ২০২২ সালের ২৪ জুলাই তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাই স্বামীকে নিয়ে এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। হাইটেক পার্কটি স্টিল কাঠামোর সাততলা ভবন, তিনতলা ডরমিটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন ও খেলার মাঠ নির্মিত হবে সেসময় জানানো হয়।
স্থানীয় সংবাদ কর্মী রাজু আহমেদ বলেন, প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নে এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ শুরু হয়। এই হাইটেক পার্কে স্থায়ীভাবে তিন হাজার জনের স্থায়ী কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রতিবছর এক হাজার তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকবে। তাই এটির দ্রুত নির্মাণ শুরু করার দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় হাইটেক পার্ক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!
শিক্ষার্থী লিখন বলেন, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হওয়ার পর সর্বস্তরের মানুষের জন্য এখানে প্রবেশাধিকার নিষেধ করা হয়েছে। ভেতরে কি হচ্ছে তা কেউ জানে না?
নির্মাণাধীন হাইটেক পার্কসংলগ্ন চা দোকানি রিপন বলেন, এখানে নির্মাণ কাজে যুক্ত থাকা অধিকাংশ লোকই গত ৫ আগস্ট দুপুরে চলে যান। এরপর থেকে এটি এভাবে পড়ে রয়েছে।
হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ কেন বন্ধ? এমন পশ্নে ভারতীয় এলএন্ডটির স্থানীয় প্রতিনিধি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। এমনকি তার নাম ও পরিচয়ও দেননি তিনি।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপিদের ইচ্ছেপূরণ প্রকল্প এখন গলার কাঁটা
তবে সদ্য যোগদান করা সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণ কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরে যোগাযোগ করবেন তিনি। এটি পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।’
প্রায় ৯ একর জমির উপর নির্মিত এই হাইটেক পার্ক নির্মাণের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্যয় নির্ধারণ করেছে ১৯০ কোটি টাকা।