বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাইকোর্টের পাশে নীল রঙের দুটি ড্রামের ভেতর থেকে ২৬ টুকরা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিহত আশরাফুল হকের মৃত্যুতে বদরগঞ্জের গ্রামে ও তার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
নিহত আশরাফুলের স্ত্রী লাকী বেগম সময় সংবাদকে বলেন, গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে বন্ধু ওয়ারেচের সঙ্গে বাড়ি থেকে ঢাকায় যান আশরাফুল হক। বুধবার (১২ নভেম্বর) রাত ৯টা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল। এরপর থেকে আর তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি পেঁয়াজ ও আলু আমদানির ব্যবসা করতেন।
নিহত আশরাফুল হকের শ্যালক রেজাওনুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, কারা কেন তাকে এমন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তার বন্ধু ওয়ারেস তাকে টাকা দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে যায়। ঋণের টাকা বিদেশে গিয়ে ফেরত দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমার দুলাভাইয়ের ওই বন্ধুকেই সন্দেহ হয়। কারণ দুলাভাই তার সঙ্গে ছিলেন এবং তার ফোন খোলা ছিল। আমার দুলাভাইয়ের নম্বরে ফোন দিলে তার বন্ধু ওয়ারেস ফোন ধরে একেক জনকে একেক রকম কথা বলতেন। আমাকে বলে দুই মিনিট পরে ফোন দিচ্ছি। এরপর কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাছেন। আমি এটার সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক অপরাধীর বিচার চাই।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আমিন সরকার বলেন, ঢাকায় নিহত আশরাফুল হক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সঠিক। তার পরিবার বৃহস্পতিবার বদরগঞ্জ থানায় এসে নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর আগে গত দুই দিন আগে তিনি ঢাকায় গিয়ে নিখোঁজ হন।
জানা যায়, নিহত আশরাফুল হকের স্ত্রীসহ এক কন্যা ও এক ছেলে রয়েছে।
]]>
৩ দিন আগে
৩








Bengali (BD) ·
English (US) ·