তাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে ছাত্রাবাসগুলোর বেহাল অবস্থার কথা জানানো হলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
শিক্ষার্থী আপন বলেন, 'রাতভর পড়াশোনা শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। দেখি ছাদের বিশাল পলেস্তারা মাথার পাশেই পড়ে আছে। সঙ্গে বড় দুটি পাথর, একটা আমার পায়ের কাছে।'
একই কক্ষের সৌরভ বলেন, 'চমকে উঠে দেখি মশারির ভেতর থেকে আমার রুমমেট বাইরে বেরিয়ে আসছে। আমরা বারবার অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল পাইনি। আগেও এমন হয়েছে, এবার বড় কিছু ঘটে যেতে পারত।'
কারমাইকেল কলেজের গোপাল লাল, জিএল হোস্টেলসহ অধিকাংশ ছাত্রাবাস বহু আগের নির্মাণকৃত, দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া, দেয়ালে ফাটল, বৃষ্টিতে পানি পড়ার মতো ঘটনা নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা, হঠাৎ পলেস্তরা খসে পড়ে আহত ৭
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ কেবল তালিকা করে রাখে, কিন্তু বাস্তব সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়।
এ প্রসঙ্গে কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলোর তালিকা তৈরি করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে পাঠানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংস্কারের খরচ নির্ধারণ করবে। এরপর কাজ শুরু হবে।
তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের আশ্বাস তারা বহুবার শুনেছেন। কাজের কাজ কিছুই হয় না। কলেজের ৯টি ছাত্রাবাস রয়েছে, এর মধ্যে অন্তত ৭টির অবস্থা জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা।