ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের আগে মিললো চাঞ্চল্যকর তথ্য

১ ঘন্টা আগে
রাশিয়ার দেয়া শর্ত মেনে নেয়া হলেই কেবল ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের পর ইতিবাচক ফলাফল আসবে। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুদ্ধে মস্কোর সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একচুলও ছাড় দেবে না রাশিয়া। এদিকে, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলে ইউক্রেনের অঞ্চল দখলের রুশ-মার্কিন পরিকল্পনা ফাঁস করেছে আরেক মার্কিন গণমাধ্যম দ্য টাইমস।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বারবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দাবি করেন, শুধুমাত্র তার সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই নেতার সম্পর্কে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

 

যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাবে রাজি না হলে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার, যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা সম্ভাবনা, একইসঙ্গে শঙ্কাও।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদে বলা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন অনুযায়ী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগের মতোই সর্বোচ্চ ভূখণ্ড দখলের লক্ষ্যেই আছেন এবং যুদ্ধবিরতিকে শুধু বাহিনী পুনর্গঠনের সুযোগ হিসেবে দেখছেন। 

 

আরেক কর্মকর্তা মনে করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যেই নিজেকে বিজয়ী হিসেবে ভাবছেন। নিজের সুবিধা ছাড়া একচুলও ছাড় দেবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। 

 

আরও পড়ুন: বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-পুতিন, ঘাম ছুটছে মোদির!

 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ পরিমণ্ডল এতটাই আঁটসাঁট আর গোপনীয় যে আসল সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে তা বোঝা কঠিন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তারা দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা বছরের পর বছর চেষ্টা করেও পুতিনের দৈনন্দিন ভাবনা ধরতে হিমশিম খেয়েছে। মস্কোর পরিকল্পনা ঘিরে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আস্থা নেই ট্রাম্পের। পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেই তার মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবেন ট্রাম্প।

 

এর মধ্যেই ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলে ইউক্রেনের অঞ্চল দখলের ষড়যন্ত্র করছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইউক্রেনের সীমান্ত অপরিবর্তিত থাকলেও দখলকৃত কিছু এলাকা আলাদা প্রশাসনের অধীনে রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

 

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সূত্র বলেছে, এসব অঞ্চলে গভর্নর নিয়োগ ও অর্থনীতি রাশিয়া দেখভাল করবে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এলাকা ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই গণ্য হবে। হোয়াইট হাউস অবশ্য এই সংবাদকে সম্পূর্ণ ভুয়া খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে কিছু সূত্র জানায়, মার্কিন প্রশাসন এখনো এমন এক সমঝোতার খোঁজে আছে যেখানে রাশিয়া ক্রিমিয়া ও দনবাস রাখবে, বিনিময়ে খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন