হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরা রোধে বনবিভাগের নতুন উদ্যোগ

৬ দিন আগে
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে হরিণ শিকার ও বিষ প্রয়োগে মাছ ধরার মতো অপরাধ দমনে নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে পশ্চিম বন বিভাগ। সুন্দরবনের ভেতরে জেলে, বাওয়ালি কিংবা স্থানীয় কেউ ফাঁদ বা নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার করে জমা দিলে দেওয়া হচ্ছে প্রতি কেজিতে ২ হাজার টাকা পুরস্কার। স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করে নেওয়া এই উদ্যোগে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে।

এছাড়া কেউ বনে ফাঁদ দেখলে সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের খবর দিলেও তাকে সঙ্গে নিয়ে ফাঁদ উদ্ধার করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে। বনজ সম্পদ রক্ষা ও বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। ‘সুরক্ষা প্রকল্প’ নামে চালু করা এই কার্যক্রমে বাওয়ালি, মৌয়াল ও জেলেদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বন সুরক্ষায় অংশ নিতে।


স্থানীয়রা বলছেন, কিছু অসাধু জেলে ছদ্মবেশে বনে প্রবেশ করে কাঁকড়া বা মাছ শিকারের আড়ালে হরিণ শিকারে জড়াচ্ছে। এতে শুধু হরিণের অস্তিত্বই হুমকিতে পড়ছে না, প্রভাব পড়ছে পুরো পরিবেশের ওপর। পরিবেশবিদদের মতে, হরিণ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এদের হারিয়ে গেলে জৈবিক চক্র ভেঙে পড়বে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের চারপাশে নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রজ্ঞাপন

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাসানুর রহমান সময় টেলিভিশনকে বলেন, ‘সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী রক্ষা ও অপরাধ দমন আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা চাই স্থানীয়রা বন সুরক্ষার অংশীদার হোক। সেই লক্ষ্যেই পুরস্কারভিত্তিক কার্যক্রমসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘হরিণ শিকার, বিষ দিয়ে মাছ ধরা কিংবা অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধে প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারির পাশাপাশি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনও চলছে। যারা বনে গমন করেন, তারা যাতে পরিবেশের ক্ষতি না করেন সে বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।’


বনবিভাগের এসব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। তাদের মতে, স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করেই একমাত্র সুন্দরবনের প্রকৃত সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন