হবিগঞ্জে প্রবাসীদের অনাবাদি জমিতে হতাশা বাড়ছে কৃষকের!

৩ সপ্তাহ আগে
হবিগঞ্জে চাহিদামতো ধান উৎপাদন হচ্ছে না। মূলত উৎপাদন খরচ বেশি হওয়া, বাজারে ধানের দাম কম থাকা এবং প্রবাসীদের জমি অব্যবহৃত রাখাসহ নানা কারণে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পতিত জমি আবাদে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

উর্বর মাটি আর অনুকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও হবিগঞ্জে হচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন। অথচ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পড়ে আছে ১২ হাজার হেক্টর অনাবাদি জমি। কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়লেও বাজারে ধানের দাম তুলনামূলক কম। এতে লোকসানের ঝুঁকি থাকায় অনেকেই ধান আবাদে অনীহা প্রকাশ করছেন।

 

এদিকে, জেলার বিপুল পরিমাণ জমির মালিক প্রবাসে থাকায় আবাদ হচ্ছে না। আর্থিক সক্ষমতা থাকায় জমিগুলো কিনে রেখেও তারা কাজে লাগাচ্ছেন না। এতে কৃষি সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ধান উৎপাদনে পিছিয়ে পড়ছে এই জনপদ। চাষিরা বলছেন, অনেকে বিদেশে থাকায় তাদের মালিকানাধীন জমিগুলো অনাবাদি পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কম খরচে চাষের সুযোগ পেলে চাষিরা লাভবান হতে পারতেন।

 

আরও পড়ুন: বরেন্দ্র অঞ্চলে কম পানিতে বিনা-১৯ ও ২১ ধান চাষাবাদের তাগিদ

 

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, পতিত জমি আবাদে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রণোদনা, আধুনিক প্রযুক্তি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।

 

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘যারা বর্গা চাষ করেন, তাদের সঙ্গে জমির মালিকদের একটি ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। এটি করা সম্ভব হলে এবং নির্দিষ্ট শর্ত অনুযায়ী আবাদের বন্দোবস্ত করতে পারলে দুই থেকে সাত বছরের মধ্যে অনাবাদি পতিত জমিগুলো আমাদের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

 

উল্লেখ্য, জেলায় এ বছর ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৪৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন