মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত ইতালি প্রবাসী হালিম খান মাদারীপুরের রাজৈরের ইশিবপুর ইউনিয়নের গোয়ালদি গ্রামের কলম খানের ছেলে।
স্বজনরা জানান, ২০১৮ সালে প্রবাসী হালিম খানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় পাশের দারাদিয়া গ্রামের ছোমেদ চোকিদারের মেয়ে রেশমা আক্তারের। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাদের দুজনের বিয়েও হয়। এরপর ইতালি চলে যান হালিম। সেখানে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে লাখ লাখ টাকা পাঠান তিনি। সেই টাকা দিয়ে শ্যালক সবুজ চোকদার একটি মোটরসাইকেল কেনেন।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সামনে ফরিদপুরে মালয়েশিয়া প্রবাসীকে হত্যা করল ‘চোরেরা’
তিন মাস আগে ৬ মাসের ছুটি নিয়ে দেশে ফেরেন হালিম। পরে মোটরাসাইকেল কেনার টাকা ফেরত চান তিনি। এ নিয়ে শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বিরোধ। সবশেষ সোমবার রাতে বাড়ি থেকে হালিমকে শ্বশুরবাড়ি ডেকে নিয়ে যান শ্যালক সবুজ। পরে রাতেই হালিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে হালিমের মরদেহ রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৩ দিন পর প্রবাসীকে হত্যা, র্যাবের জালে ঘাতক
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও ২০০৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল ইতালি প্রবাসী হালিমের। তবে পারিবারিক বিরোধে ২০১৮ সালের জুনে দুজনের তালাক হয়। হালিমের প্রথম ঘরে ১৩ বছরের মেয়ে ও ৭ বছরের ছেলে রয়েছে।
নিহতের বড়ভাই রাজ্জাক চোকদার বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ড কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আমার ছোটভাই হালিম ইতালি থেকে ছুটিতে এসে খুন হবে এটা কোনোভাবেই বুঝতেই পারিনি। আমরা খুনিদের কঠিন বিচার চাই।’
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাসান জানান, ইতালি প্রবাসী হত্যাকাণ্ডে নিহতের বড়ভাই রাজ্জাক চোকদার বাদী হয়ে চারজনের নামে রাজৈর থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।