শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
গ্রেফতার মোয়াজ বিন নুর (৪০) উত্তরার ৭নং সেক্টরের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত নুর মোহাম্মদ।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিব ইস্কান্দার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুয়াজ বিন নূরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকাল ৭টার দিকে মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পশ্চিম থানায় মুয়াজ বিন নূরকে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নিয়ে যা জানাল আলমি শুরা
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাদপন্থি ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় হত্যা মামলা করেন আলমি শুরার সদস্য এস এম আলম হোসেন।
মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকশ আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা। এ উপলক্ষে মাঠ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইজতেমা মাঠে অবস্থান করছিলেন তাবলিগের আলমি শুরার সদস্যরা। এর মধ্যেই আসামিরা বর্তমান সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে অনুমতি ছাড়া ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইজতেমা মাঠে ৫ দিনের জোড় করতে চান। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন উসকানি ছড়াচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ: সাদপন্থি ২৯ জনের নামে হত্যা মামলা
মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সাদ অনুসারীদের ২০ থেকে ২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠেই জোড় পালনের ঘোষণা দেন। এ উপলক্ষে হাজার হাজার সাদ অনুসারী মুসল্লি গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ইজতেমা মাঠের চারপাশে জড়ো হন। ওয়াসিফুল ইসলামের হুকুমে সেদিন (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাজার হাজার সাদ অনুসারীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইজতেমা মাঠে ঘুমন্ত সাধারণ মুসল্লিদের (জুবায়েরপন্থি) ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ৪ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
]]>