হত্যা মামলার আসামিকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন স্বজনরা

৩ সপ্তাহ আগে
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চরপানিয়া গ্রামে বিচার সালিশ চলাকালে এক হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে আটক করার পর পুলিশ সদস্যদের হাত থেকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়েছেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বালুচর ইউনিয়নের চরপানিয়া গ্রামের আব্বাস আলী মাতব্বরের বাড়িতে একটি জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের বিচার সালিশ চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


বিচার সালিশের সময় পুলিশ এসে ২০১৫ সালের একটি হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি আবুল হোসেন ওরফে পুড়া আবুলকে আটক করে। ঘটনাস্থলে নেতৃত্বে ছিলেন সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান।


তবে আটক করার কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়ে জোর করে আবুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।


বিচার সালিশে সভাপতিত্ব করেন বালুচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিন উদ্দিন। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন।


আমিন উদ্দিন বলেন, 'আবুল ২০১৫ সালে শ্যামলি নামে এক শিশুর খুনের মামলার ২ নম্বর আসামি ছিল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হঠাৎ আজ সে সালিশে আসে। পুলিশ এসে তাকে আটক করলেও, কিছুক্ষণের মধ্যেই তার লোকজন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।'


আরও পড়ুন: জামালপুরে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি নেতা গ্রেফতার


সঞ্চালক ফারুক হোসেন বলেন, 'আমরা জানতাম না আবুল এখানে আসবে। হঠাৎ পুলিশ এসে তাকে ধরে, কিন্তু পরে উত্তেজিত লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়।'


এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মো. কামরুজ্জামান বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে যাই। তবে প্রচুর লোকজন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়। আসামিকে আটক করলেও পরে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।'


তবে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, 'আসামির অবস্থান সম্পর্কে সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সে পালিয়ে যায়।'

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন