হতাশা থেকে মুক্তি লাভের ৫ আমল

২ সপ্তাহ আগে
অনেক সময়ই হতাশা এসে ভর করে। আর মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা প্রত্যেক মুমিনের জন্য কর্তব্য। কারণ দুশ্চিন্তা, হতাশা, রোগ-শোক, বালা-মুসিবত সবই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার জন্য পরীক্ষা।

মহান আল্লাহ বলেন,

 

আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করবো সামান্য ভয় ও ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফসলের কিছুটা ক্ষতি দিয়ে; আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও- যাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’- নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর আর অবশ্যই আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব। (সুরা বাকারা ১৫৫-১৫৬)

 

কেউ যদি দুনিয়ার কোনো বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়ে, দুশ্চিন্তায় সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ে তাহলে সে যেন এই আমলগুলো করে। এতে তার হতাশা কাটবে-- ইনশাআল্লাহ।

 

আরও পড়ুন: মালহামাতুল কুবরা কী?

 

কোরআন তেলাওয়াত করা

 

মানসিক চাপ ও হতাশা কমাতে কোরআন তেলাওয়াতের বিকল্প নেই। মহান আল্লাহর মধুর বাণী কোরআন তেলাওয়াত মানুষের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। কেননা কোরআন তেলাওয়াত মানুষের অন্তরের প্রফুল্লতার অন্যতম উৎস।

 

দোয়া ও জিকির করা

 

হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো দুঃখ-কষ্ট বা চিন্তা, অস্থিরতা তথা হতাশাগ্রস্ত হতেন তখন বলতেন,

 


يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ (উচ্চারণ: ইয়া- হাইয়ু ইয়া- ক্বাইয়ূ-মু বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ।) 

 

অর্থ: ‘হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার রহমতের মাধ্যমে আপনার নিকটে সাহায্য চাই।’ (তিরমিজি, মুসতাদরেকে হাকেম, মিশকাত)


রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চিন্তা ও পেরেশানির সময় এ বিশেষ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন।

 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

 

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসাল, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুব্নি, ওয়া দলায়িদ দাইনি, ওয়া গলাবাতির রিজাল।’ (বুখারি ৬৩৬৩)

 

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা, কাপুরুষতা, ঋণের বোঝা এবং মানুষের আধিপত্য থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

 

আরও পড়ুন: যে দোয়াকে নবীজি জান্নাতের রত্নভাণ্ডার বলেছেন

 

নামাজে মনোযোগী হওয়া

 

বিপদ-মুসিবত, পেরেশানির সময় নামাজের মাধ্যমেই প্রকৃত প্রশান্তি লাভ করা যায়। কেননা নামাজের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর সাহায্য লাভ করে থাকেন। তাই মানসিক প্রশান্তি পেতে নামাজে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন,

 

তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার সাহায্য প্রার্থনা কর। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব। (সুরা বাকারা ৪৫)

 

হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করা

 

অস্থিরতা ও হতাশা কাটাতে হাসি-খুশি থাকার বিকল্প নেই। যে কাজ করলে মনে শান্তি পাওয়া যাবে; সে কাজে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলা; যদি তা হালাল হয়। তবে কোনোভাবেই হারাম কাজের সঙ্গে জড়িত হওয়া যাবে না। হতাশামুক্ত থাকতে চলাফেরা, উঠাবসাসহ যে কোনো বিনোদনের ক্ষেত্রে হালাল-হারাম মেনে চলা খুবই জরুরি।

 

আল্লাহর ওপর ভরসা করা

 

মানসিক হতাশা ও অশান্তি থেকে মুক্ত থাকতে মহান আল্লাহর ওপর ভরসার বিকল্প নেই। কেননা তিনিই বলেছেন, 

 

যে মহান আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। (সুরা তালাক ৩)

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন