পরিভাষায় হজ বলা হয়: নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট কাজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্থানের জিয়ারত করা।
হজের প্রকারভেদ: হজ তিন প্রকার
১. হজ্জে ইফরাদ
২. হজ্জে কিরান
৩. হজ্জে তামাত্তু।
আরও পড়ুন: পশু ‘লাইভ ওয়েট’ পদ্ধতিতে কিনে কোরবানি দিলে জায়েজ হবে?
এ তিন প্রকারের মধ্যে উত্তম হল হজ্জে কিরান।
হজের ফরজ সমূহ: ১. এহরাম বাধা ২.আরাফায় অবস্থান করা ৩.তাওয়াফে জিয়ারত করা। যদি কেউ এই তিনটির কোন একটি ছেড়ে দেয় তাহলে তার হজ বাতিল হয়ে যাবে।
হজের ওয়াজিব সমূহ:
১. মুজদালিফায় অবস্থান করা
২.পাথর নিক্ষেপ করা
৩. কোরবানি করা
৪. মাথা মুন্ডানো
৫. সাঈ করা
৬. বিদায় তওয়াফ করা
এগুলোর মধ্যে কোনটির ত্রুটি করলে কাফফারা দিতে হবে, আর কোনটি ছেড়ে দিলে দম দিতে হবে। এহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ
১. তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার করা, ২. স্ত্রীর সাথে সহবাস করা বা সহবাসের আলোচনা করা, চুমা দেয়া ও কামভাব নিয়ে স্পর্শ করা, ৩.শরীরের কোন অংশ থেকে চুল বা উকুন দূর করা, ৪.নখ কাঁটা, ৫.ইযখির' নামক গাছ ব্যতীত নিজ থেকে জন্মায় এমন গাছ কাঁটা, ৬.স্থলের জানোয়ারসমূহ শিকার করা বা শিকারে সহযোগিতা করা,
৭.পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কাপড় পরা, মাথা ও চেহারা ঢাকা। ৮. মহিলাদের জন্য চেহারা ঢাকা। তবে গায়রে মাহরামদের সামনে কাপড় পরে এমনভাবে চেহারা ঢাকা যাবে যে, কাপড় যেন চেহারা স্পর্শ না করে। তার জন্য এক প্রকার বিশেষ কেপ পাওয়া যায় সেগুলো কিনে নিলে সুন্দর হবে।
আরও পড়ুন: নবীজি যেসব পশু দ্বারা কোরবানি করেছেন
৯. পুরুষের জন্য এমন জুতা-মোজা ব্যবহার করা, যাতে করে পায়ের পিঠের উঁচু হাড্ডি ঢেকে থাকে। ১০. যে কোন গোনাহের কাজ করা, বিশেষভাবে ঝগড়া-বিবাদ করা ইত্যাদি।
লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসা ঢাকা।