যেমনটি তিনি এরশাদ করেছেন,
وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا অর্থ : মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ করা তার অবশ্যকর্তব্য। (সুরা আলে ইমরান- ৯৭)
একটি হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে-
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ أَبُو الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ حَجَّ للهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ হতে ফিরে আসবে যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল। (সহিহ বুখারি: ১৫২১)
আরও পড়ুন: নবীজি যেসব পশু দ্বারা কোরবানি করেছেন
অন্য এক হাদিসে এসেছে, হজরত মূসা আঃ যখন হজ করেছেন তখন তিনি সাফা-মারওয়ার মাঝখানে লাব্বাইক বলতে বলতে দৌড়াচ্ছিলেন। এমন সময় আসমান হতে আওয়াজ আসল لبيك عبدي وانا معك (অর্থাৎ হে আমার বান্দা, আমি তোমার সঙ্গে উপস্থিত আছি) ইহা শুনে হজরত মূসা আঃ সেজদায় পড়ে গেলেন। (দুররে মানসূর)
পূর্ববর্তী উম্মতের মাঝে হজ ফরজ ছিল কিনা, এ সম্পর্কে দু ধরনের মত পাওয়া যায়। ১. পূর্ববর্তী উম্মতের উপর হজ ফরজ ছিল। ২. পূর্ববর্তী উম্মতের উপর হজ ফরজ ছিল না, এটা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদির সাথে খাস। তবে সর্ব সম্মতিক্রমে পূর্ববর্তী নবিদের উপর হজ ওয়াজিব ছিল, আর নবিদের কাজ উম্মতে মুহাম্মাদির উপর আসা এটা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য অন্যতম বিশেষত্ব। (তথ্যসূত্র আশরাফুল হেদায়া)
লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসা ঢাকা।