শুক্রবার (২২ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়ার সেনায়ান সংসদ ভবনে কমিশন-৮ এর চেয়ারম্যান মারওয়ান দাসোপাং এ বিষয়ে চলমান আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বর্তমানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী হজ নিবন্ধনের ন্যূনতম বয়স ১২ বছর। তবে নতুন প্রস্তাবে ইসলামি ধারণা ‘মুমাইয়্যিজ’ অর্থাৎ যখন একটি শিশু ভালো-মন্দ বোঝার সক্ষমতা অর্জন করে, সাধারণত ৭ বছর বয়সে, তা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।
এ প্রস্তাবের মূল কারণ হলো দেশটিতে দীর্ঘ অপেক্ষার সময়, অনেক ক্ষেত্রেই ৩০ বছরের বেশি, যার ফলে অধিকাংশ ইন্দোনেশীয় মুসলিম প্রবীণ বয়সে গিয়ে হজের সুযোগ পান, শারীরিক দুর্বলতার কারণে সঠিকভাবে আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে সমস্যায় পড়েন।
আরও পড়ুন: অফিসে কাজের ফাঁকে সহজ জিকির
দাসোপাং বলেন,
যদি কেউ ১৮ বছরে নিবন্ধন করে, তাহলে প্রায় ৬৭ বছর বয়সে তার হজে যাওয়ার সুযোগ আসতে পারে। তখন শারীরিক সক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়, যা নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়। তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হজে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ায় সৌদি আরব বয়সসীমায় কঠোরতা আনতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে।
এ প্রস্তাবিত আইনটি হজ ও ওমরাহ বিল হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার ২০২৫–২০২৯ জাতীয় আইন প্রণয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আগামী ২৬ আগস্ট সংসদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এটি পাস হলে ২০২৬ সাল থেকে হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বদলে নতুনভাবে গঠিত হজ ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি-র হাতে যাবে।
২০২৫ সালে মোট ২২১,০০০ ইন্দোনেশীয় মুসলিমকে হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে ২০৩,৩২০ নিয়মিত আর ১৭,৬৮০ বিশেষ যাত্রী অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিয়মিত যাত্রীদের মধ্যে কমপক্ষে ২০৩,৩২০ জন মক্কায় হজ পালনে যান।
]]>