চারটিরই নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু দু’পাশে সড়ক না থাকায় সেগুলো কাজে আসছে না। এতে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চারটি সেতু অকেজো পড়ে আছে। মানুষের চলাচলে ভোগান্তিও বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর দেওয়া তথ্য বলছে, এরমধ্যে হসপিতলা-কুশাহাটা এলাকায় এলজিইডির প্রকল্পের আওতায় ১টি এবং দেলুয়াবাড়ী-কৈয়রপাড়ায় জাইকার অর্থায়নে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের আওতায় তিনটি সেতু। নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচলের উপযোগী করার কথা ছিলো গত বছরের মধ্যে। কিন্তু দফায় দফায় বাজেট এবং সময় বাড়ালেও হয়নি কোনো অগ্রগতি।
সেতু না হওয়ায় যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।বগুড়ার সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ি ইউনিয়নের হসপিতলা-কুশাহাটা এলাকায় ৬ কোটি ৫১ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয় ধরে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল। এলজিইডি মাধ্যমে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে সেতুটি হলেই রক্ষা পাবে ১০ গ্রামের মানুষ
কাজ চলমান অবস্থায় নির্মাণসামগ্রীর ব্যয় বেড়ে গেলে আরও প্রায় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজটি প্রায় এক বছর আগে শেষ হলেও দু’পাশে সড়ক না থাকায় মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। একই সময়ে জাইকার সহযোগিতায় সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দেলুয়াবাড়ী-কৈয়রপাড়ায় তিনটি সেতু ও দু’পাশে মাটির সড়কের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ৮০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সড়কের কাজ ২০২৩ সালে শেষ করার কথা ছিল। তবে শুধুমাত্র সেতুগুলোর কাজ শেষ করে লাপাত্তা হয়েছে ঠিকাদার।
কাজ অসম্পূর্ণ রেখে পালিয়ে যাওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মেসার্স শান্ত ইসলাম এন্টারপ্রাইজের জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর।
বগুড়ার প্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই জামানত বাজেয়াপ্ত করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। দ্রুত আবারও নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের চলাচলের ভোগান্তি লাঘোব করা হবে।
আরও পড়ুন: গলাচিপা সেতু দ্রুত বাস্তবায়ন দাবিতে মানববন্ধন
বগুড়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাস বলেন, চলতে অর্থবছরে সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়কের বরাদ্দ রাখা হয়েছে। দ্রুত সেতুটি সাধারণ মানুষের চলাচল উপযোগী করা হবে।