মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম সোমবার (৫ মে) এক ঘোষণায় বলেন, গ্রেফতার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার সবচেয়ে ভালো, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী উপায় হলো স্বেচ্ছাপ্রস্থান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, যারা এই প্রণোদনা গ্রহণ করবেন, ভবিষ্যতে তাদের বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথ উন্মুক্ত হতে পারে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসন দমনে বড় ধরনের অভিযান শুরু করেন। এর মধ্যে রয়েছে একটি পুরোনো যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগের মতো বিতর্কিত কৌশল, যা এরই মধ্যে কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
দেশত্যাগে আগ্রহী অভিবাসীদের জন্য ‘সিবিপি হোম’ নামে একটি অ্যাপ ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে তারা নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: এবার বিদেশি সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের
এই প্রকল্পের আওতায় যারা নাম লেখাবেন, তাদের আটক করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ডিএইচএস)। তারা আরও জানিয়েছে, এরই মধ্যে একজন ‘অবৈধ অভিবাসী’ এই প্রণোদনার আওতায় শিকাগো থেকে হন্ডুরাসে ফেরার টিকিট পেয়েছেন।
ডিওএইচএসের হিসাবে, একজন অভিবাসীকে গ্রেফতার, আটক ও দেশ থেকে বহিষ্কারের গড় ব্যয় ১৭ হাজার ডলারেরও বেশি। তাই এই স্বেচ্ছাপ্রস্থান কর্মসূচি খরচ সাশ্রয় করবে বলে বিশ্বাস তাদের।
তবে এই পরিকল্পনার সমালোচনাও রয়েছে। বিরোধী ডেমোক্রেটিক দলের ডোমিনিকান-আমেরিকান কংগ্রেসম্যান আদ্রিয়ানো এসপেইয়াত এক্স-এ এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা কাউকে টাকা দিয়ে দেশ ছাড়তে বলি না। আমরা এমন একটি দেশ গড়ি, যেখানে সবাইকে জায়গা দেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার কথা ভাবছেন না ট্রাম্প
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতি ‘সফল’ বলে দাবি করছেন। তিন মাসের মধ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে দাবি তার প্রশাসনের। গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে মাত্র সাত হাজারের কিছু বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা রেকর্ড পরিমাণ কম।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত যত সংখ্যক অভিবাসীকে বহিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেনি। এছাড়া জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের প্রচেষ্টাও আদালতে আটকে গেছে।
]]>