স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে কোপালেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহিনুর কবিরকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে জেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতা হাসান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ সময় শাহিনুর কবিরের ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও তার ভাবি পারুল সুলতানা গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত শাহিনুর সরুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। অভিযুক্ত হাসানুর রহমান হাসান জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রার্থী। তিনি পতিত আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাছের ঘের থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জমি নিয়ে বিরোধের পূর্বের জের ধরে তৈলকুপি ভাঙ্গারিঘাট এলাকায় শাহিনুর কবিরকে লোহার রড, হাতুড়ি, দা, জিআই পাইপ ও বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল ব্যক্তি হামলা করে। দোকানে আশ্রয় নিলে শাটার ভেঙে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করা হয়।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নেতৃত্বে সোহাগ পরিবহনে হামলা, ১৫ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

এ সময় ছোট ভাই সাইফুল্লাহ ও ভাবি পারুল সুলতানা এগিয়ে গেলে তারাও হামলার শিকার হন। ধারালো অস্ত্রের কোপে সাইফুল্লাহ গুরুতর জখম হন এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সেলাই দিতে হয়। পারুল সুলতানাকে পিটিয়ে জখম করার পাশাপাশি তার গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়া হয় ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। হামলাকারীরা শাহিনুরের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

শাহিনুর অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার কারণে পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী রুহুল হক এবং তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমারের প্রভাবে র‍্যাব তাকে গ্রেফতার করে। সে সময় দীর্ঘদিন জেল খাটতে হয় তাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে সরকারি প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন হাসান।

আরও পড়ুন: জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতিকে কুপিয়ে জখম

এ ঘটনায় শাহিনুরের বাবা লিয়াকাত গাজী পাটকেলঘাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে হাসানসহ তার ১০ সহযোগীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত হাসানুর রহমান হাসান বলেন, ‘জমির কাগজ আমাদের রয়েছে, কিন্তু তারা জোর করে দখল করে রেখেছেন। আইন হাতে তুলে মারধর করার মতো ঘটনা ঘটানো ঠিক হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যান।’

পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিনুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
 

]]>