বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো কয়রা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়। মানববন্ধন শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বক্তারা বলেন, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট, অবকাঠামোগত দুরবস্থা ও প্রয়োজনীয় সেবা না থাকায় সাধারণ মানুষ ন্যূনতম চিকিৎসার জন্যও জেলা শহরে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন। গত তিন বছর ধরে সিজারিয়ানসহ সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে, নেই কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা। ৫০ শয্যার হাসপাতাল কার্যত সীমিত পরিসরে চলছে, পরিত্যক্ত ভবন আর স্থবির নতুন ভবনের কারণে চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে ৮ মাসে ৩৬ দুর্ঘটনায় হতাহত ৬৩
এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন হলেও আবাসন সমস্যা ও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় তারা কর্মস্থলে থাকেন না। খণ্ডকালীন সেবা দিয়েই বেতন নেন অনেকে। ফলে কয়েকজন মেডিকেল অফিসারের ওপর বিপুল জনগোষ্ঠীর সেবা নির্ভর করছে। সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় প্রসূতি মা ও শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিও বেড়েছে।
মানববন্ধনে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ানসহ অপারেশন চালু, পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা নিশ্চিত করা, গাইনী, সার্জারি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন, চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ, পরিত্যক্ত ভবনের সংস্কার ও নতুন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করা, কয়রা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা এবং কয়রা সদরে ৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্থবির উন্নয়ন প্রকল্প, কর্মসংস্থানে ভাটা
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ব্যুরো কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য দেন সাবেক চেয়ারম্যান এইচএম শাহাবুদ্দিন, মাস্টার সদউদ্দিন আহমেদ, প্রভাষক নুরুজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ভুক্তভোগী পরিবার থেকে রাসেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন ও মোস্তাফিজুর রহমান।