শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও রংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসলাম সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের মর্যাদা দিয়েছে। রাষ্ট্রে ইসলাম চালু থাকলে সবাই নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদার সাথে থাকতে পারে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম রাষ্ট্রে ইসলামী শাসন কায়েম করতে চায়, যার ভিত্তি হবে কুরআন ও সুন্নাহ।
তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ধর্মীয় উৎসব যাতে নিরাপদে উদযাপিত হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে। জামায়াতের নেতাকর্মীদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে কোনো অপশক্তি পূজা উদযাপনে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে।
আরও পড়ুন: জামায়াত ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে দাবি গোলাম পরওয়ারের
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুন্সী মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, যুব বিভাগের সভাপতি মোস্তফা আল মুজাহিদসহ স্থানীয় হিন্দু কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ডা. হরিদাস মন্ডল, অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল, অনিমেষ বিশ্বাস ও কমলেশ বিশ্বাস প্রমুখ।
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় ইতিহাস। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে হিন্দু-মুসলমান একত্রে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তখন জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কর্মীরা মন্দির পাহারা দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে।