স্বরাষ্ট্র সচিবকে নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে মিথ্যা প্রতিবেদন: প্রেস উইং

৫ দিন আগে
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিক পালকি শর্মার প্রযোজনায় মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

ইউটিউব চ্যানেল ফার্স্টপোস্ট ও বিডিডিগেস্ট নামে একটি নিউজ পোর্টালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একজন প্রতিষ্ঠাতা।

 

এতে একটি নিউজ পোর্টালের প্রতিবেদনের বরাত দেয়া হয়, যা ২০০৮ সালে দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশ হয়েছিল। তবে প্রেস উইং জানায়, ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা নাসিমুল গনি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি দুজন আলাদা ব্যক্তি। হিযবুত তাহরীর নেতা নাসিমুল গনি (যার প্রকৃত নাম নাসিমুল গনি) একজন ব্রিটিশ নাগরিক। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ আমলা। তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক, তার কোনো দ্বৈত নাগরিকত্ব নেই, তিনি অন্য কোনো দেশে বসবাসও করেন না।

 

আরও পড়ুন: বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে ভারতের গণমাধ্যমে অপপ্রচার

 

সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৮৩ সালে দেশের সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে যখন তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের তৎকালীন স্পিকারের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন তিনি বেশ কয়েকবার ব্রিটেন ভ্রমণ করেন। ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ড থেকে টপ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ৪৫ দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

 

প্রেস উইং বলেছে, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশে একটি নিষিদ্ধ সংগঠন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। নাসিমুল গনি ছাত্রাবস্থায়ও কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন না।

 

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হিযবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্যকে অবৈধ কার্যকলাপের জন্য গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংগঠনটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি: রিউমার স্ক্যানার

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে যে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তার অংশ হিসেবেই এই মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন