শনিবার (২৬ এপ্রিল) গুলশানে নাভানা টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা। এ সময় সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করেন, টপ-আপ শুধু পুলিশ বিভাগকেই নয়, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদেরও অবৈধভাবে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, হেলমেটসহ রায়ট সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এর ফলে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সদস্যরা পুলিশের ইউনিফর্ম পরে ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’, ভারতকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের
মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্রনেতারা বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট ও ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে যারা ক্ষমতার দম্ভ দেখাচ্ছে, তাদের অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তারা সরকারের প্রতি জরুরি ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি নাভানা টাওয়ার কর্তৃপক্ষ ও গুলশান থানায় জমা দেন। এতে টপ-আপের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং রায়ট সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সমর্থক গুন্ডা বাহিনীর হামলায় শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন।