বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এ সভায় আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এতে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় চবি উপাচার্য চাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। সম্প্রতি চবি শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিষয়েও তারা আলোচনা করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, চাকসু নির্বাচনে দ্রুত ভোটের ফলাফল ঘোষণার জন্য মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অভিজ্ঞতা জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগাতে চায় সরকার।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচন: ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ নামে বাম সংগঠনগুলোর প্যানেল ঘোষণা
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সিআর আবরার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলো জাতীয় আগ্রহের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, রাকসু ও চাকসুতে উৎসবমুখর নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে ডাকসু ও জাকসু থেকে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা, ভোটের পদ্ধতি ও ভোট গণনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন নির্বিঘ্নে পরিচালনা করার জন্য সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনে মনোয়নপত্র জমা ৯৩১, বিতরণ ১১৬৪
আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম, বিপিএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ হাসান নকীব, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, চবি সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. কোরবান আলীসহ পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা।
]]>