বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ের জামাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার জাহান।
তিনি জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ। পরীক্ষায় তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এছাড়া তিনি ফুসফুসের সংক্রমণেও ভুগছিলেন। বুধবার বিকেলে রিং পরানোর জন্য অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হলে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয় এবং রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ড. তোফায়েল আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের এক অনন্য জ্ঞানতাপস। যিনি সারা জীবন দেশের প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ, জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন। ২০২৪ সালের অক্টোবরে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময় গঠিত নির্বাচনী সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে তিনি মনোনীত হন এবং পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৫৫ সালের ৪ মে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি যথাক্রমে ফতেহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৭৬ এবং ১৯৭৭ সালে যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি ও প্রশাসনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮১ সালে সোয়ানসি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামাজিক খাত পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন এবং ১৯৯১ সালে উন্নয়ন অধ্যয়নে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
তোয়ালে আহমেদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও গবেষকের প্রেরণার উৎস হয়ে আছেন।
ড. তোফায়েল আহমেদ কর্মজীবন শুরু করেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড)। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে তিনি স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নলেজ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ওয়ার্ল্ডওয়াইডের (নলেজ ট্রাস্ট) চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
]]>