সোমবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ এসএম নাসিম রেজা এ রায় দেন।
সেন্টু মেহেরপুর গাংনী উপজেলার আকুবপুর বাজারপাড়ার ইমারুলের ছেলে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইদুর রাজ্জাক।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ধর্ষণ, আসামির যাবজ্জীবন
রায়ের আদেশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন মেহেরপুর গাংনী উপজেলার আকুবপুরে মেয়ে সাগরিকা খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলে মেহেরপুর গাংনী থানায় খবর দেন বাবা কুতুব উদ্দিন। মরদেহ জামাতা সেন্টুর বাড়িতে রয়েছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাংনী থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল করে। মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মরদেহ মেহেরপুর মর্গে পাঠায়।
মেয়ের বাবা ও কোনো আত্মীয় স্বজন এজহার না করায় গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম নিজেই গাংনী থানায় ১৯ জুন ২০১৬ সালে অপমৃত্যু মামলার অভিযোগ দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর নিয়মিত মামলা করে সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আবু বক্করের উপর দিয়ে দেন।
আবু বকর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ছয় জন সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে ২২ জুন ২০১৭ সালে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। ২ আগস্ট ২০১৭ আদালত পেনাল কোড ৩০২/২০১ ধারায় চার্জশিট গ্রহণ করে বিচারকার্য শুরু করেন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত গ্রেফতার
মরদেহের সুরতহাল, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও সাক্ষ্য শেষে প্রমাণিত হয় স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (২৫ )কে হত্যা করে স্বামী সেন্টু। ২০১৬ সালে ৬ জুন হত্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা চালান তিনি।
মামলায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।
]]>