জানা গেছে, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্দিষ্ট কোনো ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় এখানেই পুরো উপজেলা শহরের সারাদিনের সব ময়লা ফেলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। এতে গেলো কয়েক যুগ ধরে এ এলাকায় জমে আছে ময়লা আবর্জনার বিশাল স্তূপ। পশু-পাখি দ্বারা এসব ময়লা আবর্জনা বিভিন্নভাবে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, দি বাডস্ রেসিডেন সিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, একটি মাদ্রাসা ও মসজিদসহ চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা।
স্থানীয় লোকজনদের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি দুর্গন্ধের কারণে এখানের চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় বাজারই হয়ে উঠেছে ভাগাড়, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাসিন্দারা
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, ময়লা- আবর্জনার দুর্গন্ধে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পেটের পিড়াসহ নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। দুর্ভোগ লাঘবে শিক্ষার্থীরা বহুবার ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো সুরাহা মিলছে না।
দি বাডস্ রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর আলম ক্ষোভের সঙ্গে জানান, উপজেলা প্রশাসন এমনকি জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারপরও ময়লার ভাগাড় সরানোর কোনো উদ্যোগ নেই।
তিনি আরও জানান, এ ময়লার দুর্গন্ধে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
অপরদিকে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার মো. রফি উদ্দিন জানান, তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। এটি খুবই দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ সিটির সড়ক যেন ময়লার ভাগাড়!
এ বিষয়ে এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এটি একটি আবাসিক জনবহুল এলাকা। এ এলাকায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে রাস্তার পাশে আবর্জনার স্তূপ। আন্দোলন করে প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসক শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো ইসলাম উদ্দিন জানান, দীর্ঘ দিনের এ দুর্ভোগ লাঘবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্থায়ী প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
এ দিকে এ ময়লার ভাগাড়ের কারণে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় প্রায় ৪১ হাজার মানুষ রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।