এর আগে রোববার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডেফলাই এলাকা থেকে অভিযুক্তকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
অভিযুক্ত মো. বাবুল মিয়া (৫২) উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের মধ্য ডেফলাই গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে।
এ দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও অভিযুক্তের দূরসম্পর্কের ভাতিজি। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে রোববার রাতেই মো. বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে এ মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার দেখায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির সময় গৃহবধূকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২
ভুক্তভোগীর মা জানান, বাবুল মিয়া তার প্রতিবেশী ও দূরসম্পর্কের দেবর। তার চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে। ইতোপূর্বে তিনি এমন ঘটনা আরও ঘটিয়েছেন। গত ১৭ জুন দুপুর ১২টার দিকে অভিযুক্ত বাবুল গোয়াল ঘরে ডেকে নিয়ে যায় মেয়েকে। এ সময় বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি জানার পর সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু রোববার রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ে ঘরের বাহিরে বের হলে আবারও বাবুল তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। এ সময় আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে বাবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেমিককে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণী, অটোরিকশাচালকসহ গ্রেফতার ৩
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আর-আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে বাবুল মিয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পরে বাবুলকে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’