আহতরা হলেন: উপজেলার তেথুলিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে জাফর হোসেন (৪০), আড়পাড়া গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে বাবুল হোসেন (৩৮), মানিক হোসেনের ছেলে রোহান হোসেন (২৩), মুনসাদ আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৪৫), মকবুল হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (২২), হেদাতিপাড়া গ্রামের তফের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল হক (৩৬), মাঝপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (১৮)। আহতরা বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এরমধ্যে রফিকুল ইসলাম ও মানিক হোসেনের অবস্থার অবনতি হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
আরও পড়ুন: কারখানার পরিত্যক্ত পণ্য কেনা নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
জানা গেছে, উপজেলার আড়পাড়া হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদের জন্য লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমানের কাছে আবেদন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ গ্রুপের প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল গ্রুপের আবেদন করেন বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল। এ অবস্থায় রোববার সকালে জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ গ্রুপের বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া স্কুলে যান। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
আড়পাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘উভয়ের বাড়ি আড়পাড়া গ্রামে। তারা দুজন একই দল করেন, পেশায় শিক্ষক। তারা সভাপতি পদের জন্য আমার কাছে আবেদন করেছেন। যাছাই-বাছাই করে যাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠান ভালভাবে পরিচালিত হবে তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে। এর আগে তারা মারামারি করলেন, কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>