সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে কেন খেপছেন তরুণরা?

২ সপ্তাহ আগে
পশ্চিমাঘেঁষা মানসিকতা ও গাজার গণহত্যায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছে দেশটির তরুণ সমাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মাস্কড ইয়ুথ মুভমেন্ট’ নামে চলছে এই আন্দোলন।

সৌদি আরবের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সামলানের উদার সংস্কার ও ভিশন ২০৩০-এর মতো উদ্যোগ তাকে বিশ্বনেতাদের সুনজরে এনেছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের ১৪৫টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

 

তবে, বিশ্বমঞ্চে যখন সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, দেশে তখন তার বিরুদ্ধে চলছে সরব আন্দোলন। সৌদি তরুণেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার করেই সালমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের পথ ধরেছেন।

 

আরও পড়ুন: সৌদি আরব কি অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে?

 

সৌদি আরবে বিরল ঘটনা হিসেবে প্রথমবারের মতো যুবরাজের বিরুদ্ধে টিকটকে শুরু হয়েছে ‘মাস্কড ইয়ুথ মুভমেন্ট’। সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনকারীরা চোখ-মুখ ঢেকে, কণ্ঠ পরিবর্তন করে এবং নাম-পরিচয় গোপন রেখে ভিডিও প্রকাশ করছেন। যেখানে এমবিএস-এর শাসনব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে।

صوت الشاب العربي لا يغمد، الشاب يحب الحق ولا يحب الباطل.
أُقاتل كل جَبّارٍ عنيدٍ
ويقتلني الفراق، بِلا قِتالِ ..#حركة_الملثمين_الاحرار #يوم_الجمعه #ساهم_في_سقيا_الحجاج pic.twitter.com/lLYf2xHluM

— مهدي البلادي (@abdollah_a46599) May 23, 2025

 

তরুণদের অভিযোগ, যুবরাজ নাগরিকদের স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন দিয়ে উন্নয়নের নামে চালাচ্ছেন বিলিয়ন ডলারের বিনোদন শো। বিশেষ করে সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ের কনসার্ট, নাচ-গান, খোলামেলা বিনোদন ও বিভিন্ন ইভেন্ট নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ।

 

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হাজিদের আরামে সৌদি সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগ

 

তারা বলছেন, এসব কর্মকাণ্ড ইসলামী মূল্যবোধ ও সৌদি সমাজের ঐতিহ্যবিরোধী। গাজার গণহত্যায় তার নীরব ভূমিকা নিয়েও চলছে সমালোচনা। আন্দোলনকারীরা পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুসলিমদের পবিত্র দুই নগরী মক্কা ও মদিনাকে রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছেন।

 

এ অবস্থায়, আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সমালোচনার কারণে গ্রেফতার, কারাদণ্ড বা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার নজির রয়েছে। ফলে ‘মাস্কড ইয়ুথ মুভমেন্ট’ এর ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন