সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র, যুবরাজের সফরের আগে বললেন ট্রাম্প

১ সপ্তাহে আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সৌদি আরবের কাছে মার্কিন তৈরি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির পরিকল্পনা করছেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ট্রাম্প এ কথা জানান। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের হোয়াইট হাউজে সফরের একদিন আগে এমনটা জানালেন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সৌদি যুবরাজের সাথে বৈঠকে বলব যে, এটি আমরা করতে চাই। আমরা সৌদি আরবের কাছে এফ-৩৫ বিক্রি করব।’


রয়টার্স প্রতিবেদনে বলছে, এই বিক্রয় নীতিগত বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যের সম্ভাব্য পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

 

আরও পড়ুন:গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাবে জাতিসংঘের সমর্থন, প্রত্যাখ্যান হামাসের


রয়টার্স এই মাসের শুরুতে জানিয়েছিল যে, সৌদি আরব ৪৮টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার অনুরোধ করেছে, যা একটি সম্ভাব্য বহু বিলিয়ন ডলারের চুক্তি।


‘সৌদিরা দীর্ঘদিন ধরে লকহিড মার্টিনের যুদ্ধবিমানের প্রতি আগ্রহী।’ ট্রাম্পের বক্তব্যের আগে হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট জেটগুলো সম্পর্কে যুবরাজের সাথে কথা বলতে চান, ‘তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

 

মার্কিন অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরব, বছরের পর বছর ধরে এই যুদ্ধবিমানগুলো খুঁজছে। কারণ তারা তাদের বিমান বাহিনীকে আধুনিকীকরণ এবং আঞ্চলিক হুমকি, বিশেষ করে ইরানের হুমকি মোকাবেলা করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

 

সৌদি আরব এই বছরের শুরুতে ট্রাম্পের কাছে জেট কেনার জন্য সরাসরি আবেদন করেছিল।
এরপর পেন্টাগনের নীতি বিভাগ কয়েক মাস ধরে সম্ভাব্য লেনদেন নিয়ে কাজ করছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে রয়টার্সকে এমনটা জানিয়েছিলেন। 


এদিকে, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি এমনভাবে বিবেচনা করে যাতে ইসরাইলের গুণগত সামরিক অগ্রাধিকার বজায় থাকে। এটি নিশ্চিত করে যে,  ইসরাইল আঞ্চলিক আরব রাষ্ট্রগুলোর তুলনায় আরও উন্নত মার্কিন অস্ত্র পাবে।

 

শত্রু শনাক্তকরণ এড়াতে সক্ষম স্টিলথ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয় এই এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। একে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইসরাইল প্রায় এক দশক ধরে এই বিমান পরিচালনা করে আসছে, একাধিক স্কোয়াড্রন তৈরি করেছে এবং এখনও পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ হিসেবে এই অস্ত্র ব্যবস্থার মালিক।

 

আরও পড়ুন:অভিযোগ ইরানের / যুক্তরাষ্ট্র ‘সমান ও ন্যায্য’ পারমাণবিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়


অন্যদিকে, মঙ্গলবার ট্রাম্পের সাথে আলোচনার জন্য সৌদি যুবরাজের হোয়াইট হাউস সফর করার কথা। এই সফরের লক্ষ্য হলো, তেল ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে কয়েক দশকের পুরনো সহযোগিতা আরও গভীর করা এবং বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রেও সম্পর্ক সম্প্রসারণ করা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন