রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে এবি পার্টির দলীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকের পর সমঝোতায় পৌঁছান উভয় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে করেন যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
এর আগে খেলাফতের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে এবি পার্টির নেতাদের সাথে সংলাপে বসেন তারা। এতে মধ্যস্থতা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন।
এসময় খেলাফত মজলিসের নেতারা একই দিনে সমাবেশের তারিখ পড়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানান এবি পার্টি নেতাদের।
তাদের অনুরোধে এবি পার্টি নেতারা বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় তাতে একমত হন। পরবর্তীতে দুদলের কেন্দ্রীয় নেতারা যৌথভাবে জটিলতা নিরসনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও পরে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিলো এবি পার্টি
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রথম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর গণপূর্ত অধিদফতরের কাছে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাঠ বরাদ্দের আবেদন করেছিলাম। অপর পক্ষে খেলাফত মজলিসও ২৮ ডিসেম্বর তৃণমূল সংগঠকদের সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করে। গণপূর্ত অধিদফতর উভয় দলকেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাঠ বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চিঠি দেয়।
সবশেষ গণপূর্ত অধিদফতর ২৭, ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ করে চূড়ান্ত চিঠি দেয়। কিন্তু যাচাই বাছাই করে মাঠ বরাদ্দ দেয়ার সুপারিশ সম্বলিত চিঠির উপর নির্ভর করে খেলাফত মজলিস প্রচার-প্রচারণা, দাওয়াত সম্পন্ন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশ মুখে নিজেদের দলীয় সম্মেলনের গেট নির্মাণ করায় উভয় দলের সম্মেলন স্থান নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়।
এমন অবস্থায় উভয় দলের দীর্ঘ চার ঘণ্টা সমঝোতা বৈঠকের পর খেলাফত মজলিসের অনুরোধে এবি পার্টি তাদের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ১০ ও ১১ই জানুয়ারিতে করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান কতটা দায়িত্বহীন হলে একদল আবেদন করার পরও আরেক দলের আবেদন তারা কিভাবে গ্রহণ করে। তাদের এই দায়িত্বহীনতার কারণে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মাঝে একধরনের ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমরা একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এই সমস্যার সমাধান করলাম।’
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবি পার্টি তাদের কাউন্সিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারি করেছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে বিএনপির দুই নেতার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন বলেন, ‘আমরা ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে একত্রে আন্দোলন করেছি। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝির কোন সুযোগ নাই।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক ও লেফটেন্যান্ট কর্ণেল (অবঃ) হেলাল উদ্দিন, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিনহাজুল আলম মিলন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানাসহ দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
]]>