শনিবার (২৪ মে) সকাল থেকে স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় কাস্টমস ছাড়পত্র না পাওয়ায় আটকে থাকে অর্ধশত ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় তীব্র জটের সৃষ্টি হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সোনামসজিদ স্থল কাস্টমসের এক কর্মকর্তা বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত করার প্রতিবাদে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। তারই অংশ হিসেবে স্থল কাস্টমসের কর্মকর্তারা সকাল ৯ টা থেকে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলে।
তিনি আরও বলেন, বিকেল ৫টার পর আমদানিকৃত পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এসময় আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। তবে নির্ধারিত কর্মসূচি বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা থাকলেও তার কিছুক্ষণ আগেই ভারতীয় ট্রাকে ছাড়পত্র দেয়া শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে বন্ধ পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম, ঝুঁকিতে নিরাপদ বাণিজ্য!
ভারতীয় টাক চালক ইমাম মহাজন বলেন, সকাল দশটার দিকে আমি সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করলে জানতে পারি, বাংলাদেশে কর্মবিরতি চলছে। যার কারনে আমিসহ অনেক পন্যাহী ট্রাক শূন্যরেখায় ৫-৬ ঘণ্টা থেকে আটকে ছিল। পরে ৫টার দিকে গাড়ি ঢুকে।
ভারতীয় ট্রাকচালক বিশ্বজিত ঘোষ জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত রেখা থেকে ভারতের অভ্যন্তরে ৫০ থেকে ৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক আটকে ছিল কয়েক ঘন্টা ধরে। এতে চরম ভোগান্তি হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. মাইনুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী ট্রাক সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি। আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাকগুলো শূন্যরেখা থেকে ভারতের মহদিপুর বন্দরে আটকে ছিল। পণ্যবাহী কয়েকশ ট্রাক আটকা পড়েছিল। এর আগে এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে 'কলম বিরতি' কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। তবে ওই সময় স্থলবন্দর কলম বিরতির আওতামুক্ত ছিল।