সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো বলেন, ‘কক্সবাজার সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্টে একটি উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফেরার সময় বেলা ১১টার দিকে সৈকতের শৈবাল পয়েন্টে কিছু জেলে জড়ো হয়ে একটি সাপকে লাঠি দিয়ে আঘাত করছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি ও লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান ও সাদেক তাদের বাধা দেন। এরপর তাদের কাছ থেকে সাপটিকে রক্ষা করি। উদ্ধারের আগেই সাপটিকে লাঠির আঘাতও করেন জেলেরা। পরবর্তীতে সাপটি রক্ষা করে পুনরায় সাগরে ফিরিয়ে দেয়া হয়।’
সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভূট্টো আরও বলেন, ‘এটি ছোট আকারের সাপ। পেটের রঙ হলুদ, দেহের উপরিভাগ কালো ও কিছু অংশে হলুদ। এটি ‘ইয়ালো বেলিড সি’ প্রজাতির সাপ। গত বছর বর্ষা-মৌসুমের আগে এবং পরে চারটি ইয়ালো বেলিড সাপ ভেসে এসেছিলো কক্সবাজার সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে; যা উদ্ধার করে ফের সাগরে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: কুয়াকাটা সৈকতে বিরল প্রজাতির ‘ইয়েলো বেলিড সি’ সাপ
সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী ওসমান বলেন, ‘মূলত রোববার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারে। এর কারণে সাগরে পানির বেড়েছে এবং সাগর উত্তালও রয়েছে। তাই জোয়ারের পানির তোড়ে সাপটি ভেসে এসেছে।’
সমুদ্রবিজ্ঞানীরা জানান, হলুদ পেটওয়ালা ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির সাপ বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপগুলোর একটি। প্রশান্ত মহাসাগরের পানির ওপরের স্তরে বাস হলেও ফের কক্সবাজারের সৈকতে দেখা মিলেছে এই সাপের।
বিশ্বের স্থল ও সমুদ্রের সাপের মধ্যে চতুর্থতম ইয়েলো বেলিড সি। হলুদ পেটযুক্ত সমুদ্রের এই সাপ সাধারণত প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বাস করে। উপকূলের চেয়ে গভীর সমুদ্রই এদের বিচরণ সবচেয়ে বেশি।