শনিবার (৩০ নভেম্বর) চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদে ঘটে এ ঘটনা।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
মানববন্ধনে তাদের দাবি, শুধু আব্দুস সাত্তারকেই নয়, বিভিন্ন সময়ে সেবাগ্রহীতাদেরকে আটকে রেখে নির্যাতন করেন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি গিয়ে অভিযোগ দেয়ার পরই মারধর শুরু করে। এরপর ঘরের মধ্যে আটকে রাখে আমাকে নির্যাতন করা হয়। আমার কোন অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও কোনরকম যাচাই-বাছাই না করেই বিপক্ষ লোকের কথা শুনে আমাকে এভাবে অপমান ও মারধর করা হয়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করছি।’
আব্দুস সাত্তারের ছেলে শহিদুল ইসলাম জানান, বাবা বাড়িতে এসেও কিছু বলতে চাইনি। পরে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। অনেক বুঝিয়ে শান্ত করলেও হঠাৎ করেই মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বাবা এমন ঘটনায় চরম অপমানিত হয়েছেন ও কষ্ট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: পিটিয়ে হত্যা: সাবেক এমপি নিক্সনের ‘ঘনিষ্ঠ’ ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার
অভিযোগ রয়েছে, গত ৩-৪ মাস আগেও ষাটোর্ধ্ব আব্দুল লতিবকে একইভাবে আটকে রাখেন চেয়ারম্যান। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি ভুক্তভোগীদের।
এ নিয়ে আব্দুল লতিব বলেন, ‘কোন কথা না শুনে হঠাৎ করেই আমাকে ঘরে বন্দি করার নির্দেশ দেন। দীর্ঘ সময় আটকে রাখার পর জরিমানা আদায় করে ছাড়া হয়।’
ঘরে আটকে রেখে মারধরের কথা স্বীকার করেন নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। তবে জনপ্রতিনিধি হয়েও সেবাগ্রহীতাকে মারধরের বিষয়ে নিজের অপরাধের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বারবার বলার পরেও অন্যায় কাজ করায় তার গায়ে হাত দিয়েছি ও জরিমানার টাকা আদায় করার জন্য ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল।’