বৃহস্পতিবার(২৬ জুন) সকালে সেনাবাহিনীর নড়াইল ক্যাম্প থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি হস্তান্তর করা হয় রাকিবের কাছে।
রাকিব শিকদার নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের ধৌন্দা গ্রামের শহিদ শিকদারের ছেলে।
রাকিব সময় সংবাদকে বলেন,‘লোনের টাকায় ব্যাটারিচালিত অটো রিকশাটি কিনি। লোনের টাকা পরিশোধ করে মাস তিনেক আগে আবার দেড় লাখ টাকা লোন তুলি, অটোরিকশাটির ব্যাটারি সহ ভেতরের অকেজো অংশ গুলো পরিবর্তন করি। গাড়িটি চালিয়ে কিস্তিতে লোনের নির্ধারিত টাকা প্রতি সপ্তাহে দিতে হয়। পাশাপাশি বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ছয় সদস্যের মুখে খাবার তুলে দেয়ার একমাত্র মাধ্যম এটি।’
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের ৭ তারিখ দুপুরে বাড়ির সামনের রাস্তায় অটোরিকশাটি রেখে খাবার খেতে যাই। খাবার খেয়ে আধাঘণ্টা বিশ্রাম করি, রাস্তায় গিয়ে দেখি আমার অটোরিকশা নাই। অটোরিকশাটি হারিয়ে পাগলের মতো অবস্থা হয় আমার। পরে অটোরিকশার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে থানায় একটা জিডি করি, আর সেই কপি নড়াইল আর্মি ক্যাম্পে ও পৌঁছে দেই। প্রায় আড়াই সপ্তাহ পর সেনাবাহিনীর আন্তরিকতায় আমার অটোরিকশাটি হাতে পেয়েছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই নড়াইল সেনা ক্যাম্পের সকলের প্রতি। তারা (সেনাবাহিনী) শুধু একটি অটোরিকশা উদ্ধার করেননি, একটি পরিবারকে বাঁচিয়েছেন।
নড়াইল সেনাবাহিনী ক্যাম্প জানায়, সোমবার (২৩জুন) বিকেলে সদর হাসপাতাল এলাকায় একটি সন্দেহজনক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নজরে আসে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দলের। চালককে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সন্দেহ আরও তীব্র হলে, সেনাবাহিনীর টহল দলকে খবর পাঠায় গোয়েন্দা দল। এসময় টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই কৌশলে সটকে পড়েন চালক। পরে অটোরিকশাটি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যান সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন: মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন ছেলেরা, এগিয়ে এলো সেনাবাহিনী
আরও জানায়, প্রকৃত মালিক যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার সকালে রাকিব শিকদারের কাছে অটোরিকশাটি হস্তান্তর করেন নড়াইল সেনা ক্যাম্প।
জেলার যে কোনো ধরনের অপরাধ কার্যক্রম প্রতিহত করতে ও জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বদা সচেষ্ট আছেন বলে জানায় নড়াইল সেনা ক্যাম্প।
]]>